সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলছে - ডব্লিউএমও : মু: মাহবুবুর রহমান


প্রকাশিত:
৩ নভেম্বর ২০২১ ০১:০৬

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১০:৩৫

 

বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমান বেড়েই চলছে। গত বছর তা নতুন রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। ফলে সমগ্র বিশ্বে তাপমাত্রা বৃদ্ধি নাগালের মধ্যে রাখা যায়নি। সোমবার (২৫ অক্টোবর) জাতিসংঘের আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা-ডব্লিউএমওর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আগামী ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৬) আগে এ সতর্কবার্তা দিল জাতিসংঘের সংস্থাটি। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) গ্রিনহাউস গ্যাস বুলেটিন জানিয়েছে, গত বছর গ্যাস বৃদ্ধির হারে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্বে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে ৪১৩.২ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন, ppm) এ পৌঁছেছে, আর এই বৃদ্ধির হার গত এক দশকে বৃদ্ধির গড় হারের চেয়ে বেশি।
ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর (২০২০ সালে) করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে বিশ্বজুড়ে লকডাউনের সময় কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমলেও সার্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে। ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের বার্ষিক গড় বেড়েই চলেছে এবং এ ধারা ২০২১ সালেও অব্যাহত রয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, কার্বনের পাশাপাশি মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইডও গত ১০ বছরে গড় বার্ষিক নির্গমনের পরিমাণের চেয়ে বেশি মাত্রায় বেড়েছে।
ডব্লিউএমও জানিয়েছে, যতদিন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন অব্যাহত থাকবে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ততদিন অব্যাহত থাকবে এবং অধিক কিংবা অল্প মাত্রায় কার্বন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতির মধ্যেও এমনটা হতে থাকবে। এমনকি যদি নির্গমন দ্রুত শূন্যে কমে যায় তবুও তা অব্যাহত থাকতে পারে। কারণ গত কয়েক দশক ধরে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বেড়েই চলেছে।
ডব্লিউএমও’র মহাসচিব পেটেরি টালাস বলেছেন, তাপমাত্রা বাড়ানোর গ্রিনহাউস গ্যাসের রেকর্ড বৃদ্ধি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বড় কারণ। তিনি আরো বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্বের বৃদ্ধির বর্তমান এ হার অব্যাহত থাকলে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ আমরা বিশ্বের গড় তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে দেখব, যা প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্যারিস চুক্তিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার সুপারিশ করা হয়েছিল।
পেটেরি টালাস বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ্য থেকে এখনো অনেক দূরে। আমাদের শিল্প, জ্বালানি এবং পরিবহন ব্যবস্থা এবং পুরো জীবনযাত্রার পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’’
উল্লেখ্য গ্লাসগোতে ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ (কপ) ২৬ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন। সম্মেলনে কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে আরো উচ্চাভিলাষী ঘোষণা আশা করছেন ডব্লিউএমও’র মহাসচিব পেটেরি টালাস।


মু: মাহবুবুর রহমান
নিউজিল্যান্ডের মেসি ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top