সিডনী শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র হাতিয়ার ইউক্রেন: পুতিন


প্রকাশিত:
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:০২

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ১৫:১৯

 

প্রভাত ফেরী: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা সম্পর্কে উৎকণ্ঠা প্রকাশের মাধ্যমে মূলত দেশটিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

মঙ্গলবার রাজধানী মস্কোতে অবস্থিত রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি দফতর ক্রেমলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।

রাশিয়ায় সফররত হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সাথে বৈঠকের পর এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনের নিরাপত্তা ওয়াশিংটনের প্রাথমিক লক্ষ্য নয় বরং তা হলো রাশিয়ার উন্নতির লাগাম টেনে ধরা।’

তিনি বলেন, ‘এই লক্ষ্য অর্জনে ইউক্রেন এক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।’

পুতিন বলেন, ‘এটি ভিন্ন ভাবেই হতে পারে। ইউরোপে তাদের মিত্রদের সাহায্যে একটি সশস্ত্র সংঘাতে আমাদের টেনে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এই আক্রমণকে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা করতে পারে যা নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনা চলছে।’

মস্কোর নিরাপত্তা বিষয়ে মৌলিক উৎকণ্ঠা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা উপেক্ষা করছে বলে অভিযোগ করেন পুতিন।

তিনি বলেন, ‘এটি ইতোমধ্যেই স্পষ্ট যে রাশিয়ার মৌলিক উৎকণ্ঠার বিষয়গুলো উপেক্ষিত থাকবে।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, মার্কিন নেতৃত্বের ন্যাটো জোটে যদি ইউক্রেন যুক্ত হয়ে রাশিয়ার অধীনে থাকা ক্রিমিয়া বা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অভিযান শুরু করে, তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।

পুতিন বলেন, ‘কল্পনা করুন, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হয়েছে এবং এই ধরনের সামরিক অভিযান করছে। আমরা কি তখন ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো? কেউ কি তা চিন্তা করতে পেরেছে?’

তবে সংকটের সমাধানে উভয়পক্ষই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারবে বলে আশা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি সবশেষে আমরা সমাধানে পৌঁছাতে পারবো যদিও তা সহজ হবে না বলেই আমাদের উপলব্ধি।’

২০১৪ সালে ইউক্রেনে রুশপন্থী সরকারের পতনের পর রাশিয়া দেশটিতে আগ্রাসন চালিয়ে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। ওই সংঘর্ষ বন্ধে ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যস্থতায় ২০১৫ সালে বেলারুশের মিনস্কে ইউক্রেন ও রাশিয়া অস্ত্রবিরতি চুক্তি করে।

নতুন করে আবার সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ইউক্রেনের অভিযোগ, দেশটির পূর্বাঞ্চলে কিয়েভের বিরুদ্ধে লড়াইরত রুশপন্থী বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সহায়তার নামে ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো।

অপরদিকে ইউক্রেনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, সামরিক বাহিনীর মহড়ার অংশ হিসেবে ওই সৈন্য সমাবেশ করা হয়েছে।

সৈন্য সমাবেশের জেরে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে। তথ্যসূত্র : আলজাজিরা।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top