সিডনী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১


ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে পাকিস্তানে সঙ্কট দানা বাঁধছে


প্রকাশিত:
২৩ মার্চ ২০২২ ২৩:৩৫

আপডেট:
৫ মে ২০২৪ ১৬:৫১

ফাইল ছবি

 

প্রভাত ফেরী: পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে আনা এক অনাস্থা প্রস্তাবের কারণে দেশটিতে এক রাজনৈতিক সঙ্কট দানা বাঁধছে। এমাসের শুরুর দিকে বিরোধীদলগুলোর একটি জোট এই অনাস্থা প্রস্তাব আনে। এই জোট বলছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি থেকে একদল এমপি বেরিয়ে যাবার পর তিনি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন।

আগামী শুক্রবার পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবটির ওপর ভোট হতে পারে। মনে করা হচ্ছে ২০১৮ সালে ক্ষমতাসীন হবার পর থেকে এটিই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জন্য সবচেয়ে কঠিন রাজনৈতিক পরীক্ষা হয়ে উঠতে পারে।

ইমরান খান তার দলত্যাগী এমপিদের পার্টিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ফিরে এলে তাদের ক্ষমা করে দেয়া হবে - যেভাবে একজন পিতা তার সন্তানদের ক্ষমা করেন।

বিরোধীদল অভিযোগ করছে যে খান অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে হলে ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ জন এমপির সমর্থন পেতে হবে। এর মধ্যে তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের আসন সংখ্যা ১৫৫, তার সাথে আরো আছে তার কোয়ালিশন অংশীদারদের সমর্থন।

অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের মুসলিম লিগ সহ পাকিস্তানের বিরোধীদলগুলোর মোট আসন সংখ্যা হচ্ছে ১৬৩। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকারকে অনাস্থা প্রস্তাব পাবার ১৪ দিনের মধ্যে অধিবেশন আহ্বান করতে হয়। এই ১৪ দিনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে সোমবার।

তবে স্পিকারের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় ওআইসির এক সম্মেলনের কারণে এ তারিখ কয়েকদিন পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে।

পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ এবং বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে , ইমরান খানের সাথে পাকিস্তানের শক্তিধর সামরিক বাহিনীর সুসম্পর্কে চিড় ধরেছে যাদের সমর্থন দেশটির যে কোন রাজনৈতিক দলেরই ক্ষমতা যাবার জন্য দরকার।

ইমরান খান এবং সামরিক বাহিনী উভয়েই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। চার বছর আগে ইমরান খানের দল ক্ষমতাসীন হয়। খান একজন সাবেক ক্রিকেটার এবং ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন। পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তানের ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোন প্রধানমন্ত্রীই তার মেয়াদ পুরো করতে পারেননি বিবিসি।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top