সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১


পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা


প্রকাশিত:
১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:৩১

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ০৫:৪৮

ছবি: পারভেজ মোশাররফ

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে রাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চমাত্রার বিশ্বাসঘাতকতার দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে ইসলামাবাদের এক বিশেষ আদালত। পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো সাবেক সামরিক প্রধানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়ার এটিই প্রথম ঘটনা।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) চূড়ান্ত পর্যাযের যুক্তি-তর্ক শুনে তিন সদস্য বিশিষ্ট ওই আদালত এ আদেশ দেন।

বিশেষ আদালতের এই মামলার শুনানি করেন তিন সদস্যের বিচারকের একটি প্যানেল। বিচারকদের এই প্যানেলে ছিলেন পেশওয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার শেঠ, সিন্ধু হাইকোর্টের বিচারপতি নজর আকবর এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শহীদ করিম।

১৯৯৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেসময়কার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অপসারণ করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেন মোশাররফ। গত ২০১৩ সাল থেকে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। একই বছর ৫ এপ্রিল তার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০১৬ সালের মার্চে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুবাইয়ের উদ্দেশে পাকিস্তান ছাড়েন মোশাররফ। বর্তমানে সেখানেই বসবাস করছেন তিনি।

২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন পারভেজ মোশাররফ। রাষ্ট্রদ্রোহ, জরুরি অবস্থা জারি, বেআইনি উপায়ে বিচারপতি বরখাস্ত, বেনজির ভুট্টো হত্যা এবং লাল মসজিদ তল্লাশি অভিযান-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলায় বর্তমানে পলাতক সাবেক এই পাক সেনাপ্রধান।

২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে দেশটির আদালতে মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আদালতে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।

তবে, আপিল বিভাগে মামলার বিরুদ্ধে মোশাররফের আবেদনের কারণে মামলাটি ঝুঁলে যায়। জামিনে মুক্তি পাবার পর ২০১৬ সালের মার্চে পাকিস্তান ছেড়ে যান তিনি। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোশাররফ বর্তমামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।

এই মামলার বিচার কাজ করতে গিয়ে ছয়বার বিশেষ আদালতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top