সিডনী শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


সিরিয়ার ইদলিবে রাশিয়া ও সরকারি বাহিনীর বিমান হামলা, নিহত ২২


প্রকাশিত:
১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:৪১

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ০৫:০৭

ছবি: রয়টার্স থেকে সংগৃহীত

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা ইদলিবে রাশিয়া ও সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত ২২ জন বেসামরিক নিহত হয়েছে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংগঠন সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার সেখানকার মারেত আল নুমান জেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ও শহর লক্ষ্য করে এসব বিমান হামলা চালানো হয়। হামলার পর ব্যাপক সংখ্যক মানুষ সেখান থেকে তুরস্ক সীমান্তের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

দ্য সিরিয়ান ডিফেন্স মূলত হোয়াইট হেলমেট নামে পরিচিত একটি দাতব্য সংস্থা বলছে, মঙ্গলবার ইদলিব প্রদেশের মারেত আল নুমান জেলার ডজনখানেক ছোট শহর এবং গ্রাম লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। হামলার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ি ছেড়ে তুর্কি সীমান্তের কাছে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত শিবিরে পালাতে বাধ্য হয়।

হোয়াইট হেলমেটের মুখপাত্র আহমেদ শেইখো আলজাজিরাকে বলেন, সরকারি বাহিনীর হামলায় তাল মানিস শহরে ৯ জন, বিদামাতে ৬ জন এবং মাসারান শহরে আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আল কানায়েসে একজন এবং মার শামশাহতেও একজন নিহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মাসরান শহরের বিভিন্ন এলাকায় ধ্বংসস্তূপ থেকে জরুরি সেবা প্রদানকারী দলের সদস্যরা দগ্ধ ব্যক্তিকে বের করে আনছেন। তারপর অ্যাম্বুলেন্সে করে সেসব আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরীয় গৃহযুদ্ধে জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ৪ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। দেশটির গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান সমর্থক রাশিয়া ও ইরান। আর সিরিয়া থেকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াইয়ের কথা বলে সেখানে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিন থেকে চলা ওই লড়াইয়ে আসাদ বাহিনী দেশটির বেশিরভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হলেও বিদ্রোহীদের সর্বশেষ শক্ত অবস্থান রয়েছে ইদলিব প্রদেশে।


বিষয়: সিরিয়া


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top