সিডনী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


পরমাণু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা ইরানের


প্রকাশিত:
৭ জানুয়ারী ২০২০ ০৫:৩১

আপডেট:
৭ জানুয়ারী ২০২০ ২২:৫৫

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির মাধ্যমে তাদের ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তা আর মানা হবে না। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরমাণু উপকরণ সমৃদ্ধকরণ ও গবেষণার কাজে আর কোনও সীমাবদ্ধতা রাখবে না ইরান। স্থানীয় সময় রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর রাতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ইরান সরকার বলছে, পরমাণু সমৃদ্ধকরণ, সমৃদ্ধ পরমাণুর মজুত বা পারমাণবিক গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান।

ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানিকে তার নিজ শহরে (আহবাজ শহর) দাফনের কয়েক ঘণ্টা আগে এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহবাজে মরদেহ পৌঁছানোর পর লাখো মানুষ কালো পোশাক পরে চোখের পানিতে তাদের প্রিয় ‘হাজি কাসেম’কে বিদায় জানাতে সমবেত হয়েছেন।

ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানিকে তার নিজ শহরে (আহবাজ শহর) দাফনের কয়েক ঘণ্টা আগে এ বিবৃতি দিয়েছে দেশটি। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহবাজে মরদেহ পৌঁছানোর পর লাখো মানুষ কালো পোশাক পরে চোখের পানিতে তাদের প্রিয় ‘হাজি কাসেম’কে বিদায় জানাতে সমবেত হয়েছেন।

এদিকে সম্প্রতি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রবিবার সন্ধ্যায় ইরাকের মার্কিন দূতাবাস এলাকায় চারটি রকেট হামলার ঘটনাও ঘটেছে। যদিও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।

ইরানি কমান্ডারকে হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ইরাক থেকে মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহার চেয়ে ইরাকের পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এ ব্যাপারে ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদী বলেন, অভ্যন্তরীণ ও বাইরের নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও নৈতিকতা ও বাস্তবতার দিক থেকে মার্কিন বাহিনীকে প্রত্যাহার করাই হবে ইরাকের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত। 

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দর এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানিসহ তার ১০ সহযোগীকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার পর শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরাকজুড়ে ব্যাপক মার্কিনবিরোধী মনোভাব তৈরি হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top