সিডনী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


ইরানে সোলাইমানির জানাজায় পদদলিত হয়ে নিহত ৫০, আহত ৩০০


প্রকাশিত:
৮ জানুয়ারী ২০২০ ০৪:৩৯

আপডেট:
৯ জানুয়ারী ২০২০ ০০:০৬

কাসেম সোলাইমানির জানাজায় লাখো জনতা  ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: নিজ শহরে অনুষ্ঠিত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির জানাজায় পদদলিত হয়ে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষ ওই জানাজায় অংশ নেয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, তার দাফনানুষ্ঠানে লাখ লাখ শোকার্ত মানুষের ঢল নেমেছে। এতে আরও ৩০০ জন আহত হয়েছেন।

ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা গেছে, শোকার্ত লোকজন অবসন্ন হয়ে ফ্লোরে পড়ে আছেন। অন্যরা তাদের বুকে ঘষামাজা করছেন। মাটিতে পড়ে থাকা কারো কারো মুখ জ্যাকেট ও কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দেখা গেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার সোলাইমানির মরদেহ কবর দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তার নিজের শহর কারমানে। সেখানে অনুষ্ঠিত জানাজায় বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে সোমবার সকালে ইরাক থেকে যখন জেনারেল সোলেইমানির মরদেহ ইনকিলাব চত্বরে পৌঁছায় তখন লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপ নেয় তেহরান। পরে সেখান থেকে তার মরদেহ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিহত এ জেনারেলের জানাজায় নেতৃত্ব দেন।

সোলাইমানির জানাযায় পদদলিত হয়ে নিহত হয়েছে ৩৫ জন  ছবি: রয়টার্স

দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের প্রধান পীর হোসেন কলিভান্দ বলেন, শোকমিছিলে অংশ নিয়ে বেশ কিছু লোক আহত হয়েছেন। অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন।

কেরমানে এএফপির প্রতিনিধি বলেন, দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় শহরের রাস্তায় লোকে লোকারণ্য। নিহত জেনারেলের প্রতি শোক জানাতে তারা মিছিল নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন। শোকমিছিলের পদদলিত হয়ে এই হতাহতের আগে বিপ্লবী গার্ডসের কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসাইন সালামি বলেন, শহীদ সোলাইমানি ছিলেন খুব ক্ষমতাবান। এখন তিনি মৃত। শত্রুরা অন্যায়ভাবে তাকে হত্যা করেছে।

নিজ শহরে সোলাইমানির জানাযায় লাখো জনতা   ছবি: রয়টার্স

মঙ্গলবার সকাল থেকেই সোলাইমানির নিজ শহরে হাজার হাজার শোকার্ত মানুষকে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। এছাড়া তেহরান, কুয়াম, মাশহাদ ও আহভাজ শহরেও মানুষের ঢল নেমেছে।

অনেকেই জেনারেল সোলাইমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর মানুষ হিসেবে দেখে থাকেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র তাকে সন্ত্রাসী এবং আমেরিকান বাহিনীর জন্য হুমকি বলে বিবেচনা করতো।

ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির শোকমিছিলে মানুষের ঢল। ছবি: এএফপি

গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের স্থপতি হিসেবে পরিচিত কুদস ফোর্সের শীর্ষ এই জেনারেলকে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top