সিডনী শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


প্লেনে ‘ভুলবশত’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, দায় স্বীকার ইরানের


প্রকাশিত:
১১ জানুয়ারী ২০২০ ২২:৪৫

আপডেট:
১২ জানুয়ারী ২০২০ ২২:৪৫

ইরানে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিমান  ছবি: রয়টার্স

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ইউক্রেনের যাত্রীবাহী প্লেন বোয়িং ৭৩৭ ভূপাতিত করার দায় স্বীকার করেছে ইরান। শনিবার (১১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ দায় স্বীকার করেছে দেশটি।

বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, ইরানের প্লেন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভুলবশত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে প্লেনটিকে ভূপাতিত করেছে। প্লেনটি ইরানের রেভুলেশনারি গার্ডের অন্তর্গত একটি সংবেদনশীল অঞ্চল দিয়ে যাওয়ার সময় এটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।

এই ঘটনার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতা করতে হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেন, এই ভুলের জন্য আমাদের পুরো দেশ গভীরভাবে দুঃখিত। প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতের সকলের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানায়। এই ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই দুঃখজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে তেহরানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া প্লেনটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা অস্বীকার করেছে ইরান। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্যন্যা পশ্চিমারা দাবি করে আসছিলো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এটি হয়েছে।

আমেরিকার সিবিএস নিউজ মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছিলো, একটি স্যাটেলাইট দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার বিষয়টি শনাক্ত করেছে। আর তার পরেই বিস্ফোরণের আরেকটি বিষয় শনাক্ত করে স্যাটেলাইট।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো অনুমান করেছিলো, মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর পাল্টা হামলা প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত ছিলো ইরান। তারা (ইরান) যাত্রীবাহী প্লেনটিকে যুদ্ধ বিমান ভেবে ভুলবশত আক্রমণ করে।

প্রসঙ্গত, ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কিছু সময় বাদেই প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। আর এতে মারা যায় ১৭৬ জন। নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন কানাডিয়ান, ১১ জন ইউক্রেনের, ১০ সুইডিশ, চার আফগান ও তিনজন জার্মানির নাগরিক ছিলেন বলে জানা গেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top