সিডনী শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


পুরো ভারতেজুড়ে চলছে জনতার কারফিউ


প্রকাশিত:
২২ মার্চ ২০২০ ২২:২৭

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ০১:১০

ভারতেজুড়ে চলছে জনতার কারফিউ

প্রভাত ফেরী: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতজুড়ে চলছে জনতা কারফিউ। স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে এই কারফিউ চলবে রাত ৯টা।

গত সপ্তাহেই করোনার বিস্তার ঠেকাতে অতিজরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে আজ দেশজুড়ে এ কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন ভারতীয়রা। জনতার কারফিউতে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে গোটা ভারত। দেশটিতে রোববার সকাল থেকে রাস্তায় তেমন কোনো যানবাহন চলছে না। বন্ধ রয়েছে রেলও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ছবিতে দেখা গেছে রাস্তাঘাট শূন্য।

এখন অবধি ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১৫। পশ্চিমবঙ্গেও ৪ জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের অস্তিত্ব। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশবাসীর কাছে সময় চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ রোববার, সকাল সাতটা থেকে রাত নয়টা সেই অনুযায়ী পালন হচ্ছে জনতার কারফিউ। প্রথম পর্যায়ে ১৪ ঘণ্টা চলবে এই কারফিউ।

গত বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে জনতার কাছে স্বেচ্ছায় ঘর বন্দি থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বলেছিলেন, সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতেই মানুষের স্বার্থে জনতা কারফিউ ডাকা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জনতা কারফিউ একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। অনেকের মতে, এই সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেয়া উচিত ছিল। স্বাস্থ্য কর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই প্রয়োগের ভুল-ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে আরও বড় মাপের লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে সরকার।

জনতা কারফিউ প্রসঙ্গে মোদি বলেছেন, ‘সতর্ক থাকুন। আতঙ্কিত নয়। বাড়িতে থাকাই কেবল গুরুত্বপূর্ণ নয়, আপনি যে শহরে রয়েছেন সেখানেই থাকুন। অহেতুক সফরে আপনার বা অন্যদের কারও লাভ হবে না। এই সময়ে আমাদের প্রতিটি ছোট পদক্ষেপও বড় মাপের প্রভাব ফেলতে পারে।’

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যে গতিতে ভারতে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে, তাতে সংক্রমণের জাল ছিন্ন করাটাই এখন সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর তা কার্যকর করতে গেলে এ ভাবে ‘লকডাউন’ করা ছাড়া কোনো উপায় খোলা নেই।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top