সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


ধুমপান থেকে দূরে থাকতে খাবারে গোলমরিচ


প্রকাশিত:
২৭ মে ২০১৯ ০৭:২১

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১৫:৩৮

ধুমপান থেকে দূরে থাকতে খাবারে গোলমরিচ

ধুমপান ছাড়ার জন্য কত মানুষ কত কিছুই না করে। কিন্তু সঠিক পন্থা অবলম্বন না করায় অনেকেই ধুমপান আসক্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে না। যারা অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান করেন তাদের জন্য গোলমরিচ খুবই উপকারী। গোলমরিচ তেলের গন্ধ নিয়মিত নিন। অথবা সরাসরি ভাবে গোলমরিচ খেলেও ধূমপানের প্রতি আসক্তি কমবে অনেকটাই।



খাবারে একটুখানি গোলমরিচের গুঁড়ো দিলেই অনেক স্বাদহীন খাবারও খেয়ে ফেলা যায়। বিশেষ করে স্যুপ হোক বা ডিম সিদ্ধ, উপরে একটু ছড়িয়ে নিলে খাওয়ার স্বাদই বেড়ে যায়। আবার কোনো চাইনিজ খাবার বা নুডলসের সঙ্গে একটু গোলমরিচ না হলে চলে না।



আমারা সাধারণত তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে পারে গোলমরিচ ব্যবহার করে থাকি।কিন্তু গোলমরিচে এমন কিছু রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ওষুধের মতো কাজ করে। তাই কেবল স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেও খাবারে গোলমরিচ দিন।





 

সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে গোলমরিচ অত্যন্ত কার্যকরী, কিন্তু তা ছাড়াও গোলমরিচের বেশ কিছু উপকার রয়েছে। জানেন, কোন কোন অসুখে কাজে লাগে গোলমরিচ?



বুকের কোনো অসুখ থাকলে তার চিকিৎসাতে কাজে লাগে গোলমরিচ। গোলমরিচ গুঁড়ো করে, স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর হয়। ফলে ত্বকে সহজে অক্সিজেন চলাচল করতে পারে এবং রক্ত সঞ্চালন হয়। পিগমেন্টেশন ও অ্যাকনে দূর করতেও সাহায্য করে গোলমরিচ।





 

গোলমরিচ অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে। ফলে গোলমরিচ দিয়ে খাবার তৈরি করুন। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরবে সহজেই।



গোলমরিচ হজমে সাহায্য করে। কারণ এটি পেটে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরণের মাত্রা বাড়ায়। হজম ঠিক থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়ার মতো সমস্যাকে কমানো যায়।



যারা অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান করেন তাদের জন্য গোলমরিচ খুবই উপকারী। গোলমরিচ তেলের গন্ধ নিয়মিত নিন। অথবা সরাসরি ভাবে গোলমরিচ খেলেও ধূমপানের প্রতি আসক্তি কমবে অনেকটাই।



দাঁতে ক্যাভিটি বা ব্যথা থাকলে মুখে গোলমরিচ রাখতে পারেন। ব্যথা কমাতে গোলমরিচ সাহায্য করে। নাক বন্ধ থাকা, হাঁপানি ইত্যাদি কমায় গোলমরিচ। এক কাপ গরম পানিতে এক টেবিল চামচ গোলমরিচ এবং দুই টেবিল চামচ মধু দিয়ে খেলে কফ দূর হবে ও গলা ব্যথা কমবে।



গোলমরিচ খেলে শরীর গরম হয়ে ঘাম বেশি হয়। ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন কমতে থাকে। ফলে ত্বক ভাল থাকে আর ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top