সিডনী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


চুলকানি হওয়ার কারন ও সমাধান


প্রকাশিত:
১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৫২

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০২:০৩

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বিভিন্ন কারণে শরীরে চুলকানি বা বডি ইচিংয়ের সমস্যা হতে পারে। সঠিকভাবে চিকিৎসা না করালে রোগ জটিল আকার ধারণ করতে পারে। শীত এলেই কমতে থাকে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ। শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকেও। আর এই শুষ্কতার কারণে শরীরে চুলকানি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

বেশির ভাগ ত্বকের সমস্যাতেই চুলকানি হয়। আমাদের দেশে একটা খুব প্রচলিত রোগ, শীতকালে অনেক বেশি হয় স্ক্যাবিজ। এক সঙ্গে অনেক লোক থাকে, একজনের কাছ থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে যায়। পুরো পরিবারকে চুলকাচ্ছে। একধরনের পরজীবী দিয়ে এটা হয়। চুলকাবে রাতে বেশি। রাতে যখন বেশি চুলকানি হয়, আমরা ভাবি স্ক্যাবিজ হতে পারে। আমরা এসব লক্ষণগুলো খুঁজি। দেখি আঙুলের ফাঁকে কোনো দানা দানা আছে কি না। 

চুলকানির ধরন দেখে আমরা পুরো বিষয়টিকে নির্ণয় করে ফেলি। রিয়াসিস একটি রোগ। এতেও চুলকানি হয়। আমাদের চামড়ায় সিলভার স্কেল উঠতে পারে। তবে এর ভাগ রয়েছে। এক ধরনের সোরিয়াসিস হয়—ছোট ছোট, দানা দানা। সোরিয়াসিস যদি ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে সমস্যা হয়। সোরিয়াসিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে খুব হিসাব করে। তখন সারা গায়ের চামড়া ঝরে পড়ে যাবে। সেখানে অনেক চুলকানি হতে পারে। এ ছাড়া আরো অনেক রোগ হয়। উপরে রোগ নির্ণয়ের কথাগুলো বলেছিলেন ডা. হুমাইরা কবীর

খাওয়া, গোসল, প্রসাধনীর ব্যবহার ইত্যাদির ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললেই এই চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই সময়ে ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি থেকে বাঁচার উপায় চলুন জেনে নেয়া যাক-

শীতের সময়টাতে একটু ভাজাভুজি, চিপস-পাকোড়া খেতে বেশ লাগে। কিন্তু এর ফলে সুষম খাবারের ইচ্ছা ও ক্ষুধা দুটিই নষ্ট হয়। এ কারণে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকানি বেড়ে যেতে পারে। সমস্যা কমাতে অ্যান্টিক্সিড্যান্ট ও ন্যাচারাল ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার বেশি খান। যেমন, মৌসুমি ফল, আপেল, আমন্ড, আখরোট, অ্যাভোক্যাডো। তৈলাক্ত মাছ, হলুদ-কমলা-গাঢ় সবুজ রংয়ের শাক-সবজি খান পর্যাপ্ত। জলীয় খাবার খান বেশি। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি, স্যুপ, ফলের রস, ঘোল, দুধ খান।

উল বা গরম কাপড়ে চুলকানি বাড়লে সুতির জামার উপর গরম জামা পরুন।

এই সময়ে কোমাল সাবান বেশি নিরাপদ। সুগন্ধে অ্যালার্জি থাকলে মৃদু গন্ধের বা গন্ধহীন সাবান মাখুন।

গোসলের পর ভেজা গায়ে লাগান গন্ধহীন নারকেল তেল। তারপর এক মগ পানি ঢেলে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চেপে মুছে নিন, ত্বকের আর্দ্রতা বেশি ক্ষণ বজায় থাকবে। কম থাকবে চুলকানি।

ময়েশ্চারাইজারও লাগাতে পারেন। গোসলের পর অল্প ভেজা গায়ে লাগালে ত্বকের গভীরে যাওয়া পানির উপর প্রতিরোধক আবরণ তৈরি হয়ে আর্দ্রতা বজায় থাকে বেশিক্ষণ।

তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করুন মৃদু গন্ধের জেল বেস্ড লোশন, ত্বকের প্রকৃতি শুষ্ক হলে মাখুন ক্রিম বেস্ড লোশন।

শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করা যায় না। আর গরম পানিতে গোসল মানে ত্বক আরও শুকিয়ে যাওয়া। কাজেই মধ্যপন্থা নিন। গরম পানির ব্যবহার ছাড়তে না পারলে গোসল সারুন সংক্ষেপে। আর দীর্ঘ গোসলের আরাম নিতে গেলে ব্যবহার করুন হালকা গরম পানি। রক্ত সঞ্চালন বেড়ে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে তাতে। তারপর ভেজা গায়ে তেল বা ক্রিম লাগিয়ে নিলে কম থাকে চুলকানি।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top