সিডনী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে মেনে চলুন ‘কফ এটিকেট’


প্রকাশিত:
১৬ মার্চ ২০২০ ০৫:৪৭

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:২৪

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী: মাস্ক পরলেই করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে এমন ধারণা থেকেই মানুষ মাস্ক কেনার হুড়োহুড়ি শুরু করেছেন। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাস্কের দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে ফায়দা লুটছেন। কিন্তু করোনাভাইরাস থেকে দূরে থাকতে সত্যিই কি এই এন৯৫ মাস্ক পরতে হবে? কী বলছেন চিকিৎসকরা?

এন৯৫ মাস্ক বায়ুনিরুদ্ধ হয়। এটি একেবারেই বেশি ক্ষণ পরে থাকা যায় না। রোগীর এক মিটারের মধ্যে চিকিৎসকদের আসতে হয় এবং দেখাশোনা করতে হয়। সাধারণ মানুষ এই মাস্ক বেশিক্ষণের জন্য পরে ঘুরে বেড়ানোর সময় মুখের অঞ্চলে ঘাম হবে, নাক চুলকাবে, কানের কাছে টান পরবে, চশমা থাকলে তা শ্বাসের বদ্ধ হাওয়ায় ঝাপসা হবে। মাস্ক এক জায়গায় থাকবে না। নেমে বা উঠে যাবে, কখনও পাশেও সরে যেতে পারে।

বারবার মাস্ক ঠিক করতে গিয়ে অনেকেই হাত দিয়ে ফেলেন মাস্কে। মাস্কের গায়ে বার বার হাত দিলে মাস্কে লেগে থাকা জীবাণু হাতে লেগে যায়। এ বার ওই হাত যেখানে লাগবে, সেখান থেকে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। এই ধরনের মাস্ক যেহেতু বেশি ক্ষণ পরে থাকা যায় না, তাই কিছু ক্ষণ অন্তর তা খুলে ফেলতে হবে।

মাস্ক পরতেই হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ভিড়ভাট্টা বা কোনো বড় জন সমাগমে গেলে সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন। তার চেয়েও জরুরি কফ এটিকেট মেনে চলুন।

কফ এটিকেট কী: কোভিড-১৯-এর ভাইরাস যখন তখন বাতাসে ভেসে বেড়ায় না। এটি বায়ুবাহিত অসুখ নয়। হাঁচি-কাশির সময় আক্রান্ত রোগীর নাক-মুখ থেকে নির্গত ড্রপলেটসের মধ্যেই এর জীবাণু আবদ্ধ থাকে। তাই হাঁচি-কাশির সময় মেনে চলতে হবে বিশেষ নিয়ম।

হাঁচি কাশির সময় তালু নয়, বাহু ঢেকে হাঁচি বা কাশি দিন। কারণ তালু ঢেকে হাঁচি বা কাশি দিলে ড্রপলেটস হাতের আঙুলের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যায়। বাহু ঢেকে হাঁচলে বা কাশলে সে ভয় থাকে না। এছাড়া অন্যান্য কাজেও হাতের তালু ব্যবহার করা হয়। তালু ঢেকে হাঁচি বা কাশি জীবাণু অন্যত্র ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top