সিডনী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১ জুলাই


প্রকাশিত:
২৩ জুন ২০২২ ১৯:০৮

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:২৭

 

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১ জুলাই থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ফিরতি টিকিট পাওয়া যাবে ৭ জুলাই থেকে।
আজ রেল ভবনের সম্মেলনে কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন একথা জানান।
আগামী ১০ জুলাই ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ধরে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সাধারণত ঈদযাত্রার ৫ দিন আগের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়। সে অনুযায়ী, ট্রেনের ৫ জুলাইয়ের টিকিট ১ জুলাই, ৬ জুলাইয়ের টিকিট ২ জুলাই, ৭ জুলাইয়ের টিকিট ৩ জুলাই, ৮ জুলাইয়ের টিকিট ৪ জুলাই এবং ৯ জুলাইয়ের টিকিট ৫ জুলাই বিক্রি হবে। এছাড়া ১১ জুলাইয়ের ট্রেনের ফিরতি টিকিট ৭ জুলাই, ১২ জুলাইয়ের টিকিট ৮ জুলাই, ১৩ জুলাইয়ের টিকিট ৯ জুলাই এবং ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হবে ১১ জুলাই।
তিনি জানান, ঢাকায় ৬টি স্টেশন এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঈদের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে। ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে সমগ্র উত্তরাঞ্চলগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট মিলবে। কমলাপুর শহরতলী প্ল্যাটফর্ম থেকে রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে। তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যাবে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও দেওয়ানগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট।
এছাড়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যাবে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট। ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশন থেকে পাওয়া যাবে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নিশ্চিত করতে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে যাত্রীরা এনআইডি বা জন্ম সনদের ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শন করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টায়। কাউন্টারে বিক্রি হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রতিটি টিকিট বিক্রি কেন্দ্রে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি করে কাউন্টার থাকবে। প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে শুধু নারী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য আলাদা কোচ সংযোজন করা হবে।
তিনি জানান, ঢাকা থেকে প্রতিদিন ২৬ হাজার ৭১৩টি টিকিট বিক্রি হবে। এর অর্ধেক বিক্রি হবে অনলাইনে। যাত্রীদের চাপ মেটাতে ৬৭টি অতিরিক্ত বগি জোড়া হবে। সব মিলিয়ে মোট ২১৩টি ট্রেন চলাচল করবে।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন। অগ্রিম টিকিট ফেরত নেয়া হবে না। ঈদে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ঈদ স্পেশাল ট্রেনের কোনো টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। এটি কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
তিনি জানান, ৬ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই এবং ৭ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ থাকবে। চলবে না গুডস ট্রেন।
সংবাদ সম্মেলনে রেল সচিব মো. হুমায়ুন কবিরসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top