সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতিতে অটল বাংলাদেশ
প্রকাশিত:
৫ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৫৯
আপডেট:
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:০৬
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতার’ নীতিতে অটল থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি, বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী কাজ করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছে।
৪ নভেম্বর সোমবার কুয়েত সিটিতে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতা জোরদার এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও চৌকস করার’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি সন্ত্রাসবাদ দমনে মানবাধিকার-কেন্দ্রিক পন্থা অবলম্বনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে তিনি মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশের চলমান সংস্কারের কথা তুলে ধরেন।
নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর দায়িত্বশীল ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি। এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনা করতে হবে বলেও জোর দেন তিনি।
উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন দেশগুলোকে তাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী সমন্বিত পন্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তৌহিদ হোসেন।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বহুপাক্ষিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিটি সমাজ নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত নিরাপত্তা অর্জন সম্ভব নয়। ‘আজকের আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে, যতক্ষণ না প্রতিটি সমাজ নিরাপদ, ততক্ষণ কোনো সমাজই প্রকৃতপক্ষে নিরাপদ নয়,’ বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সন্ত্রাসবাদ দমন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৮ সালে দুশানবে প্রক্রিয়া চালু হয়। কুয়েতের এই উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনটি ছিল দুশানবে প্রক্রিয়ার চতুর্থ আয়োজন।
এই সম্মেলন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি প্রথমবারের মতো মধ্য এশিয়ার বাইরে দুশানবে প্রক্রিয়ার পরিধি ও প্রভাব বিস্তার করেছে, যা জাতিসংঘের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমন কৌশল বাস্তবায়ন জোরদার করার প্রচেষ্টার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: