আমদানি করতে চীনা পণ্যের বিকল্প বাজার খোঁজা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
 প্রকাশিত: 
 ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:০২
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৫০
 
                                প্রভাত ফেরী ডেস্ক: করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চীন থেকে আমদানি পণ্যের বিকল্প বাজার খোঁজা হচ্ছে। রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা এবং সংসদ অধিবেশনের সমাপ্তি ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ধর্ষকদের ধরিয়ে দিন। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধর্ষণকারীরা পশুর চেয়েও খারাপ। আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছি। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি, কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি বলেন, আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, ধর্ষণকারীদের যেখানেই পাওয়া যাবে, তাদের ধরিয়ে দিন। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে ধরিয়ে দিন। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।
আগামী রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান এলেই অনেকেই দ্রব্যমূল্য নিয়ে খেলায় মেতে ওঠার চেষ্টা করে। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ কোনো সঙ্কটের গুজব ছড়ালে তাতে কেউ আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্কিত হয়ে পণ্য মজুদ করবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ব্যথা, সব কষ্ট সহ্য করে একটা জিনিসই শুধু চিন্তা করেছি। আমার বাবা দেশটা স্বাধীন করেছেন যে মানুষের জন্য, সেই সাধারণ মানুষের জীবনটা যেন সুন্দর হয়। সে জন্য নিজের জীবনের সব ব্যথা, সব কিছু মুখে চেপে রেখে আমি দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। শুধু একটা কারণে, আমি চাই দেশটা যেন এগিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনকারী মানুষ যেন বিশ^ দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। আমি কারও প্রতি বিদ্বেষ নিয়ে চলি না বা প্রতিশোধ নিতেও যাইনি। যেখানে অন্যায় হয়েছে, ন্যায় করার চেষ্টা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই বাংলাদেশের মানুষ একটু সুখের মুখ দেখতে শুরু করল তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) নৃশংসভাবে হত্যা করল। বাংলাদেশের মানুষ হারিয়েছে তাদের নেতাকে, আমি ও আমার বোন হারিয়েছি বাবাকে। শুধু আমরা না, ১৫ আগস্টে আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, স্বজনহারা অনেকেই রয়েছেন। তিনি বলেন, শুধু হত্যা করা হয়নি। খুনিদের বিচার পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। বিচারের হাত থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সামরিক অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, খুনিদের সবাই তো উৎসাহিত করেছেন।
খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করে কর্নেল রশিদকে সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসায়। জেনারেল এরশাদ খুনি ফারুককে পার্টি করতে দেয়, ফ্রিডম পার্টি করে এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দিয়েছিল।
বিষয়: করোনা ভাইরাস চীন

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    -2020-01-01-23-27-22.jpg) 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: