আবর্তন : রওনক খান
প্রকাশিত:
৩ নভেম্বর ২০২১ ২৩:১৪
আপডেট:
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫২

তখন আমার কানামাছি, কুমির ডাঙ্গা সময়,
তখন আমার দু'বেণীতে হলুদ ফিতে
রঙীন ফ্রকে অপার বিস্ময়।
দ্বন্দ্বহীনা, মাড়িয়ে গেছি দূর্বাদল ও ভুঁইচাপাদের
কুড়িয়ে নিতে চম্পা, পারুল, শিউলি, বকুল
শিশির ঝরা ভোরে।
ভয়হারা অন্তরে।
তখন আমি দুরম্ত কিশোরী,
ঢিল ছুঁড়েছি পড়শি বাড়ির আম বাগানে
হারেরে রে কে এলোরে, ছুটতে গিয়ে
আলটপকা হোঁচট খেয়ে মরি।
তখন আমার স্বপ্ন দেখা আঁখি,
সাতমহলা, ঢাল তলোয়ার, পঙ্খীরাজ
আর বীরপুরুষ এক রাজারকুমার,
সোনার খাটে শিথান দিয়ে
রূপার খাটে পা দুখানা রাখি।
বটের ঝুরি সন্ধ্যা নামায়
শাল তমাল ও হিজল ছায়ায়
পূর্বাচলের পথ ছাড়িয়ে অস্তাচলের দিকে।
বসে থাকি একলা হওয়া,
মন খারাপ এক শান্ত নদীর বাঁকে।
নৌকা কোনো ভিড়ল নাকি ঘাটে ?
বলল মাঝি, যাচ্ছি আমি অনেক দূরে
যাবে তুমি, সুদূরপুরে? সঙ্গী হবে?
উঠে এসো নায়ে।
পা বাড়াতেই পেছন থেকে আঁচল ধরে
টানছে আমায় ও কে!
তাকিয়ে দেখি ওমা একি!
এরা যে সব সাথেই ছিল, বুঝতে হলো দেরী।,
সেই সেদিনের জুঁই চামেলি
মিষ্টি বকুল, চম্পা, পারুল
শিউলিঝরা ভোর, আর
বাগান জুড়ে মুষড়ে পড়া ভুঁইচাপারা
উতল হাওয়ার দুষ্টু বিকেল বেলা।
কুমিরডাঙ্গা, কানামাছি খেলা।
ততক্ষণে নৌকা আমার মাঝ নদীতে
চলছি আমি সুদূরপুরে
চলছি আমি দুলকি চালে
অস্তরাগের আলোছায়া মেখে।
চলছি আমি, চলছি আমি --------
বিষয়: রওনক খান
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: