সিডনী শুক্রবার, ১০ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


জয়িতা চট্টোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা


প্রকাশিত:
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:৩২

আপডেট:
১০ মে ২০২৪ ১৮:২০

 

একঃ
নদীহীন
যে শহরে এনেছ ফেলে সেই শহরে কোনো নদী নেই
প্রতিদিন হা হা শব্দে নদী খুঁজেছি
তবুও লিখিনি কোনও নৌকার কবিতা
ভিজতে চেয়েছি প্রতিবর্ষায় থৈ থৈ হাঁটু জলে
ভাসিয়েছি আমার কাগজের নৌকা
দমকা বাতাস এলোমেলো করে দেয় আমায়
উল্টোনো নৌকাকে সোজা করে ঠেলে দিই
নদীহীন শহরের খাঁ খাঁ বুক
ওকেই আমি আপন করে নিই।

দুইঃ
আমার অসুখে
আমার অসুখ বেড়ে ওঠে যেমন বেড়ে ওঠে লতা
পরম গুহায় নামে তুমি নামের বৃষ্টি
দুচুমুক স্নান করে আমার কবিতা
তোমার কাছে রেখে যাই দংশনের দায়
দুঃখ ভিজে যায় পুরনো পাতার মতো
আয়ুর মতো জেগে থাকে ঘুম ঠায়
তুমি এসে চলে যাও নিজের আড়ালে
স্রোত থেকে স্রোতে প্রেম কাঁদে
প্ররোচনা দেয় অসুখ শরীর
সামনে এসে দাঁড়ালে মিশে যাও তুমি
আর তোমার পাঞ্জাবি আকাশের নীলে
বৃষ্টির মুদ্রিত রূপ আমার কবিতায়
আমায় অসুখ নিয়ে তুমি জড়িয়েছিলে
সমস্ত মৃত্যু আজ লেগে থাকে শ্রাবণের গায়ে
আমার অসুখে পৃথিবী আজ নিজেকে লুকায়।

তিনঃ
নিখোঁজ
শূন্যতা এখন সন্ন্যাস নিয়েছে
চুপিচুপি নিঃশ্বাস ফেলে যায়
অগনিত আষাঢ় তোমার মেঘে
আমার আকাশ জুড়ে যুদ্ধ ঘনায়
ভালোবাসা নামের স্টেশনে
হয়তো জন্মান্তর নামে রোজ
আমি মুছে নিই শরীর থেকে ঘাম,
আর চোখ থেকে রক্ত, হৃদয় নিখোঁজ।

 

জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
পশ্চিম বঙ্গ, ভারত

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top