মৃত্যু আর্তনাদের মধ্যেই হতাহতদের সব কিছু লুট!
প্রকাশিত:
২২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:১৩
আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ০৫:৫৫

অমৃতসরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬২ জন। কারও হাত-পা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়েও সাহায্যের জন্য কাতরাচ্ছেন। ছুটে এসে অনেকে সাহায্যও করছেন।
<iframe frameborder="0" height="250" id="google_ads_iframe_/21711891156/jg_desktop_content_square_0" name="" scrolling="no" src="https://tpc.googlesyndication.com/safeframe/1-0-30/html/container.html" title="3rd party ad content" width="300"></iframe>
কিন্তু বিপর্যয়ের মধ্যেও সুযোগ সন্ধানী কেউ কেউ। মৃত ও আহতদের পকেট হাতড়ে বের করে নিচ্ছেন টাকা-পয়সা। খুলে নিচ্ছেন সোনার হার বা আংটি। কেউ বা হাত থেকে ছিটকে পড়া দামি মোবাইল তুলে নিচ্ছেন নিজের পকেটে।
অমৃতসরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর এমন ছবি কোনো ক্যামেরায় ধরা না পড়লেও এমন বর্ণনা এসেছে মৃতদের স্বজন ও আহতদের কাছ থেকে।
সতের বছরের ছেলেকে হারিয়ে দিশাহারা জ্যোতি কুমারী জানান, ছেলে সবসময় গলায় সোনার চেন পরে থাকত। কিন্তু যখন লাশ সরকারি হাসপাতাল থেকে হস্তান্তর করা হয়, তখন সেই চেন উধাও।
জ্যোতি কুমারীর প্রশ্ন- ২০ হাজার টাকা দামের মোবাইল না হয় ছিটকে যেতে পারে, কিন্তু পকেটের মানিব্যাগ ও সোনার চেন কোথায় গেল?
কমল কুমারের ১৯ বছরের ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলেন অনুষ্ঠান দেখতে। কিন্তু কাঁধে করে যখন তার বন্ধুরা তার লাশ নিয়ে আসে তখন তার দামি মোবাইলের কোনো হদিস নেই, জানান কমল কুমার।
ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে রাবণ পোড়ানো দেখতে গিয়েছিলেন দীপক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। মেয়ে ফেরেনি। বাবা-ছেলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে।
তার মধ্যেও হাসপাতালেই দীপক জানালেন, ট্রেনের ধাক্কায় নড়াচড়া তো দূরে থাক, সাহায্যের জন্য চিৎকারও করতে পারছিলাম না। এর মধ্যেই একজন এসে পকেট হাতড়ে মোবাইল, টাকা-পয়সা যা ছিল, সব নিয়ে চলে গেল।
চারদিকে কার্যত লাশের স্তূপ। বাঁচার জন্য আর্তনাদ, গোঙানি ও চিৎকার। এর মধ্যেও যে কেউ এত নিষ্ঠুর হতে পারে, তা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না মৃতদের পরিজন ও আহতরা। আবার দুর্ঘটনার পরও সেলফি, ভিডিও তোলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
জম্মু কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ টুইটারে লিখেছেন- কি ভয়ানক অমানবিক দৃশ্য! দুর্ঘটনার পরও লোকজন দাঁড়িয়ে ছবি, ভিডিও ও সেলফি তুলছেন!
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: