গণতন্ত্রপন্থীদের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল থাইল্যান্ড
 প্রকাশিত: 
 ১৯ নভেম্বর ২০২০ ২৩:০৮
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:১০
 
                                
প্রভাত ফেরী: থাইল্যান্ডে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার রাজতন্ত্রের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যকার সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধ ও বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার দেশটিতে কমপক্ষে ১০ হাজার গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী পুলিশের প্রধান কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ করে। সে সময় তারা রং ও পানি পিস্তল ব্যবহার করেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজতন্ত্রের ক্ষমতা খর্ব ও প্রধানমন্ত্রী প্রাউত চান-ওচার পদত্যাগের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য অনেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের চাহিদা মোতাবেক সংবিধান সংশোধন করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক করার কথা ভাবছিলেন আইনপ্রণেতারা। তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মঙ্গলবার পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হন।
পার্লামেন্ট ভবনের পাশে সরকারবিরোধী ও রাজতন্ত্রের অনুসারী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে। সে সময় নদীর পাশে অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবন থেকে এমপিরা নৌকায় স্থান ত্যাগ করেন। গত জুলাই থেকে তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনে সেদিন সবচেয়ে সহিংস সংঘর্ষ দেখা যায়। বিক্ষোভের সময় অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্যাংককের একটি জরুরি সেবাকেন্দ্র।
পুলিশের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, সংরক্ষিত এলাকা ভাঙার চেষ্টা চালালে পুলিশ জলকামান ব্যবহারে বাধ্য হয়। বিক্ষোভকারী নেতারা তাদের দিকে জলকামান ব্যবহার করে রাসায়নিকযুক্ত পানি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ার নিন্দা জানান। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘স্বৈরাচারের দাশ’, ‘আমাদের কর’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। পুলিশের আঙিনায় রং ছিটিয়ে দেন। বিক্ষাভকারীরা খেলনা পানি পিস্তল ব্যবহার করে পুলিশের প্রতিক্রিয়ার জবাব দেন।
মঙ্গলবারের সহিংসতা সত্ত্বেও বুধবার ব্যাংককের র্যাচাপ্রাসংয়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ জড়ো হন। সেখানে বিক্ষোভকারীরা তাদের আন্দোলনের পরিসর বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিক্ষোভে খেলনা পিস্তল ধরে রাখা থানিসর্ন (২২) বলেন, ‘আমাদের অস্ত্র নেই, আমাদের সেনাবাহিনী নেই। আমার মনে হয়েছে, বাইরে এসে তাদের জানিয়ে দিই যে, ভয় পাই না। আমরা তাদের চেয়ে শক্তিশালী।’ থানিসর্ন আরও বলেন, ‘মানুষ জেগে উঠেছে। এখন আর অপপ্রচার চালানোর যুগ নেই।’
বিষয়:

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: