পার্লামেন্টে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার ঘটনায় বিশ্বনেতাদের নিন্দা
 প্রকাশিত: 
 ৭ জানুয়ারী ২০২১ ২২:৪২
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:০৩
 
                                
প্রভাত ফেরী: যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা আজকে পার্লামেন্টের হামলাকে উল্লেখ করেছেন অনেকেই। আর ট্রাম্প সমর্থকদের এ তাণ্ডবের নিন্দায় সরব হয়েছেন বিশ্বনেতারা। বিদেশি নেতাদের বাইরে ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ-ও এ ঘটনাকে পুরোপুরি অসুস্থ ও হৃদয়বিদারক দৃশ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, গণতন্ত্রের ওপর এই আঘাতের ঘটনায় কানাডিয়ানরা প্রচণ্ড বিরক্ত। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনাকে লজ্জাজনক দৃশ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্ন্দান্দেজ জো বাইডেনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং সহিংসতার ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন। চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপের’ নিন্দা জানিয়েছেন।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, ‘ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের উচিত শেষ পর্যন্ত আমেরিকার ভোটারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া এবং গণতন্ত্রের পদদলন না করা।’ ক্যাপিটল হিলের ঘটনাকে উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে তুরস্ক। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্র তার এই অভ্যন্তরীণ সংকট শান্তিপূর্ণভাবে কাটিয়ে উঠবে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ইতিহাস সঠিকভাবেই ক্যাপিটলের ওপর এই আক্রমণকে মনে রাখবে। আর সেটি হচ্ছে এই মুহূর্তটি প্রচণ্ড অসম্মান এবং এই জাতির জন্য লজ্জাজনক। আরেক সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছেন, এটা পুরোপুরি অসুস্থ এবং হৃদয়বিদারক দৃশ্য। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল কোনও দেশে এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে বিতর্কিত করা হয়। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোনও স্থান নেই।
এদিকে ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের ঘটনায় রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ১২ ঘণ্টার কারফিউ জারি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় এই কারফিউ শুরু হয়েছে, চলবে সকাল ৬টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় শুরু হয়েছে, চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত)। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার পর ডিস্ট্রিক অব কলাম্বিয়ার (ডিসি) মেয়র মুরিল বসের এই কারফিউ জারি করেন।
পার্লামেন্ট ভবনে তাণ্ডবের আগে-পরে করা ট্রাম্পের টুইটেও সমাজের জন্য ক্ষতিকর শব্দ খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কায় তার অ্যাকাউন্টটি ১২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রাম্প নিয়ম ভঙ্গ করেছেন এটা প্রতীয়মান হওয়ায় পরবর্তী ১২ ঘণ্টার জন্য তার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হলো। এ সময় তাকে সতর্ক করে বলা হয়, প্রথমবার এ ঘটনা ঘটায় তাকে সতর্ক করা হচ্ছে। ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটলে তার অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিষয়:

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: