বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস আজ
 প্রকাশিত: 
 ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:০২
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৫৯
 
                                প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস আজ । জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৯৯৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় ২৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক জৈব বৈচিত্র্য দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয়। ১৯৯৪ সালে নাসাউতে অনুষ্ঠিত জীব-বৈচিত্র্য সংক্রান্ত কনভেনশনের পক্ষদের সম্মেলনের সুপারিশ অনুযায়ী সাধারণ পরিষদ উল্লিখিত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
যে মানুষের অপরিণামদশী কর্মকাণ্ডের ফলে পৃথিবীর জীব বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্য হারে অবাধে সংকুচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাসীর উদ্বেগের প্রেক্ষিতে জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং তার টেকসই ও সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির উদ্যোগে ১৯৯২ সালে জীব-বৈচিত্র্য কনভেনশন নামে একটি আন্তর্জাতিক দলিল চূড়ান্ত করা হয়।
কনভেনশনের বিধান অনুযায়ী ৩০টি দেশ কর্তৃক তা অনুমোদিত হওয়ার পর ১৯৯৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তা কার্যকর হয়। বাংলাদেশ উক্ত কনভেনশনের অন্যতম অনুমোদনকারী দেশ। মানুষের জন্য অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও সেবার উৎস হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন জীবের জীন, প্রজাতি ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা তথা ইকোসিস্টেম সমূহের প্রকারভেদ।
পৃথিবীর জৈব-বৈচিত্র্য জেনেটিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, শিক্ষাগত, সাংস্কৃতিক, বিনোদনগত ও সৌন্দৰ্য্যগত বিভিন্ন দিক থেকে অতি মূল্যবান। প্রাণের ক্রম বিবর্তন এবং পৃথিবীতে জীবের বিকাশ লাভের ক্ষেত্রে জৈব-বৈচিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য, ঔষধ ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ অথচ জীব-বৈচিত্রের প্রতি মানুষেরই বিরূপ কর্মকাণ্ড যেভাবে অবাধে চলছে তাতে আশংকা হচ্ছে যে, ২০২৫ সালের মধ্যে ২০-২৫% প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। তাই জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণে ও টেকসই ব্যবহারে তৎপর হওয়ার আহবানেই হচ্ছে আন্তর্জাতিক জীব-বৈচিত্র্য দিবসের আহবান ।
বাংলাদেশে জীব-বৈচিত্র্য প্রচুর ও তার সম্ভাবনাও অনেক। তবে তাও আজ হুমকির সম্মুখীন। জনসংখ্যার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রাণীর আবাসস্থল হচ্ছে সংকুচিত। তারা হারিয়েছে তাদের শিকারের ক্ষেত্র। এককালে বাংলাদেশের সর্বত্রই রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা ডোরাকাটা বাঘ দেখা যেতো। এখন তাদের কেবল সুন্দরবনেই পাওয়া যায়। এই শতকের শুরুতেই ভাওয়াল ও মধুপুর অঞ্চলে হাতির দেখা মিলেছে। দিনে দিনে তারা সরে যাচ্ছে অন্যত্র। এখন কেবল পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহের পাহাড়েই হাতি দেখা যায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দিবসটির বেশ তাৎপর্য রয়েছে।
বিষয়:

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: