করোনায় যেভাবে ঠিক রাখবেন আপনার শরীর
 প্রকাশিত: 
 ১৪ মে ২০২০ ২২:০২
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:২০
                                
প্রভাত ফেরী: করোনা ভাইরাস এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম। চীনের উহানে গত বছরের ডিসেম্বরে ভাইরাসটি সম্পর্কে প্রথম জানা গেলেও ইতিমধ্যে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে এর বিস্তৃতি। মহামারি আকার ধারণ করেছে বিশ্বব্যাপী। যেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
বিশ্বের ১৩২টি দেশে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন অধিকাংশ মানুষের জন্যই এই রোগটি খুব ভয়াবহ নয়, কিন্তু অনেকেই মারা যায় এই রোগে। তাই স্বাবাভিকভাবেই সবার মাঝে কৌতুহল জন্মেছে কিভাবে এটি মানুষের শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর আক্রমণের ধরণই বা কেমন, কি কারণে এবং কেন ভাইরাসটিতে মানুষ যায়?
বিবিসির প্রতিবেদনে উঠেছে এমন কিছু তথ্য। যেখানে বলা হয়, ‘ইনকিউবেশন’বা প্রাথমিক লালনকালে এটি ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। আপনার শরীর গঠন করা কোষগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার মাধ্যমে কাজ করে প্রাণঘাতি এ ভাইরাস।
করোনাভাইরাস, যার আনুষ্ঠানিক নাম সার্স-সিওভি-২, আপনার নিশ্বাসের সাথে আপনার দেহে প্রবেশ করতে পারে (আশেপাশে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে) বা ভাইরাস সংক্রমিত কোনো জায়গায় হাত দেয়ার পর আপনার মুখে হাত দিলে।
শুরুতে এটি আপনার গলা, শ্বাসনালীগুলো এবং ফুসফুসের কোষে আঘাত করে এবং সেসব জায়গায় করোনার কারখানা তৈরি করে। পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় এবং আরো কোষকে আক্রান্ত করে। এই শুরুর সময়টাতে আপনি অসুস্থ হবেন না এবং কিছু মানুষের মধ্যে হয়তো উপসর্গও দেখা দেবে না।
ইনকিউবেশনের সময়ের প্রথম-সংক্রমণ এবং উপসর্গ দেখা দেয়ার মধ্যবর্তী সময় স্থায়িত্ব একেকজনের জন্য একেকরকম হয়, কিন্তু গড়ে তা পাঁচদিন। গবেষণায় উঠে এসেছে অধিকাংশ মানুষের অভিজ্ঞতায় করোনাভাইরাস নিরীহ অসুখই মনে হবে। দশজনে আটজন মানুষের জন্যই কোভিড-১৯ একটি নিরীহ সংক্রমণ এবং এর প্রধান উপসর্গ কাশি ও জ্বর।
শরীরে ব্যাথা, গলা ব্যাথা এবং মাথাব্যাথাও হতে পারে, তবে হবেই এমন কোনো কথা নেই। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার ফলে গায়ে জ্বর আসে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে শত্রুভাবাপন্ন একটি ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করে এবং বাকি শরীরে সাইটোকাইনস নামক কেমিক্যাল পাঠিয়ে বুঝিয়ে দেয় কিছু একটা ঠিক নেই। এর কারণে শরীরে ব্যাথা ও জ্বরের মত উপসর্গ দেখা দেয়।
প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের কারণে শুষ্ক কাশি হয়। কোষগুলো ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার কারণে অস্বস্তিতে পড়ার কারণে সম্ভবত শুকনো কাশি হয়ে থাকে। তবে অনেকের কাশির সাথেই একটা পর্যায়ে থুতু বা কফ বের হওয়া শুরু করবে যার মধ্যে ভাইরাসের প্রভাবে মৃত ফুসফুসের কোষগুলোও থাকবে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে পরিপূর্ণ বিশ্রাম, প্রচুর তরল পান করা এবং প্যারাসিটামল খাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতাল বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ারও কথা বলেছেন বিশেজ্ঞরা।
বিষয়: করোনা

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: