নাস্তিক জ্যোতি বসু একমাত্র লোকনাথ বাবাকেই মানতেন : সিদ্ধার্থ সিংহ
 প্রকাশিত: 
 ১২ জুলাই ২০২১ ২১:১৭
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৯
জ্যোতি বসুর ঠিক আগে যিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের সঙ্গে জ্যোতি বসুর রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছিল চরমতম। কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁদের দু'জনের মধ্যে ছিল ঠিক ততটাই বন্ধুত্ব।
সেই সময়ে জ্যোতি বসু ছিলেন বিধানসভার একজন সাধারণ সদস্য। মাসে মাইনে পেতেন সাকুল্যে ২৫০ টাকা। তাও সেই টাকার আবার বেশির ভাগ অংশই পার্টির কাজে দিয়ে দিতেন তিনি। ফলে তাঁর সংসারে সারাক্ষণ টানাটানি লেগেই থাকত।
সেটা সিদ্ধার্থশঙ্করও জানতেন। তাই জ্যোতিবাবুর সঙ্গে তিনি যখন দেখা করতে যেতেন, তখন মাঝে মাঝেই উঁকি মারতেন তাঁর রান্নাঘরের দিকে। সে দিন কী রান্না হয়েছে, সেটা এক ঝলক দেখার জন্য। আর প্রতিবারই তিনি দেখতেন, রান্না হয়েছে শুধু ভাত, ডাল আর বেগুন ভাজা, ব্যস।
পরে, যখন জ্যোতি বসু বিরোধী দলনেতা হলেন, তখন তাঁর আর্থিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছিল। মানে তাঁর বেতন তিন গুণ বেড়ে হয়েছিল মাসে ৭৫০ টাকা। তখনও মাসিক বেতনের প্রায় পুরো টাকাটাই তিনি পার্টিকে দিয়ে দিতেন।
সেই সময়ে জ্যোতি বসুর স্ত্রী কমলা বসু মাঝে মাঝেই সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের কাছে অনুযোগ করতেন, তিনি যেন তাঁর বন্ধুকে একটু বুঝিয়ে বলেন যে, সংসারটা কী ভাবে চলছে। দু'বেলার ডাল-ভাত জোগাড় করতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে।
একবার চন্দননগর থেকে কলকাতায় আসার সময়ে জ্যোতি বসু আর সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়কে কয়েক জন অল্পবয়সী মেয়ে ঘিরে ধরেছিল। জ্যোতি বসু তখন রীতিমতো স্টার নেতা। তাই অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল।
কিন্তু ওই মেয়েগুলো জ্যোতি বাবুর শুধু অটোগ্রাফ নিয়েই সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারা বায়না করছিল, সইয়ের সঙ্গে তিনি যদি কয়েকটা লাইনও লিখে দেন...
কিন্তু জ্যোতি বসু তাঁর জায়গায় একদম অনড়। তিনি শুধু সই করেই হনহন করে হাঁটা দিয়েছিলেন।
গাড়িতে ওঠার পরে সিদ্ধার্থশঙ্কর মজা করে বলেছিলেন, এত সুন্দর মেয়েগুলো তোমার কাছে ক'টা লাইন লিখে দেওয়ার জন্য আবদার করল আর তুমি সেটা না লিখেই চলে এলে! আরে বাবা, কোনও লাইন যদি মাথায় না-ই আসত, রবীন্দ্রনাথের কোনও লেখা থেকে তো একটা-দুটো লাইন লিখে দিতে পারতে। জ্যোতি বসু বলেছিলেন, জানলে তো লিখব।
বাংলাদেশ যুদ্ধের কিছু দিন আগে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাঁর বাড়িতেই জ্যোতি বসুর একটা গোপন বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলেন সিদ্ধার্থশঙ্কর।
কেউ যাতে কিছু টের না পায়, সে জন্য রাত এগারোটায় বৈঠকের সময় ঠিক হয়েছিল। নজর এড়ানোর জন্য সিদ্ধার্থশঙ্কর তাঁর স্ত্রী মালা রায়ের ফিয়াট গাড়িতে জ্যোতি বসুকে বসিয়ে নিজেই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর বাড়ি ১ নম্বর সফদরজং রোডে।
ঘণ্টাখানেকের ওই বৈঠকের পরে বাইরে বেরিয়ে রাস্তা গুলিয়ে ফেলেছিলেন সিদ্ধার্থশঙ্কর। অনেকক্ষণ ধরে দিল্লির রাস্তায় চক্কর কাটার পরে তিনি ঠিক করেছিলেন, সামনেই যে থানা পাবেন সেখানে গিয়ে সাহায্য চাইবেন।
তাঁর কথা শুনে জ্যোতি বসু বলেছিলেন, তুমি কি বোকা নাকি! গোটা দুনিয়াকে ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে জানাতে চাও যে আমি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম?
কিছুক্ষণ পরে অবশ্য সিদ্ধার্থশঙ্কর ঠিক রাস্তাটাই খুঁজে পেয়েছিলেন, তাই সে যাত্রায় আর থানায় যাওয়ার দরকার পড়েনি।
চূড়ান্ত রাজনৈতিক বিরোধ থাকা সত্ত্বেও জ্যোতি বসু কিন্তু কংগ্রেসের আরেক বড় নেতা এ বি এ গণি খান চৌধুরীকে নিজের পরিবারের সদস্য বলেই মনে করতেন।
সবাই যখন এ বি এ গণি খান চৌধুরীকে 'বরকতদা' বলে ডাকতেন, তিনি কিন্তু কখনওই তাঁকে বরকতদা বলে ডাকেননি। তিনি তাঁকে 'সাহেব' বলেই সম্বোধন করতেন।
সেই 'সাহেব'-এর বোন প্রতি দু'সপ্তাহ অন্তর একবার করে বিরিয়ানি রান্না করে পাঠাতেন জ্যোতি বসুকে। কিন্তু কোনও দিন পাঠাতে ভুলে গেলে কিংবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না পাঠালেই জ্যোতি বসু নিজেই ফোন করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করতেন, কী হল? বিরিয়ানি পাঠাওনি কেন?
শোনা যায়, একবার জ্যোতি বসু পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে ডেকে বলেছিলেন, বিধানসভার ভেতরে এমন কিছু ইস্যু তুলে ধরতে পারো না যাতে সরকার একটু বিব্রত হয়? একটু কড়া কড়া ভাষায় বলবে তো ইস্যুগুলো। এটা বলার পরে নিজেই একটা কাগজে খসখস করে লিখে দিয়েছিলেন, পরের দিন বিধানসভায় কোন কোন ইস্যুতে তাঁরা তাঁর সরকারকে আক্রমণ করতে পারে। এই হচ্ছেন জ্যোতি বসু।
১৯৯৩ সালে জ্যোতি বসু কিউবায় যান। একদিন রাতে যখন ঘুমোতে যাবেন, ঠিক সেই সময়ে খবর আসে, ফিদেল কাস্ত্রো জ্যোতি বসুর সঙ্গে দেখা করতে চান।
সীতারাম ইয়েচুরিও তখন জ্যোতি বসুর সঙ্গে কিউবায়। ফলে তিনি আর জ্যোতি বসু দু'জনে মিলে মাঝরাতে ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা চলেছিল ওই বৈঠক।
জ্যোতি বসুকে ফিদেল কাস্ত্রো একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছিলেন--- ভারতে কয়লার উৎপাদন কত? কোথায় কী রকম লোহা পাওয়া যায়? গমের উৎপাদন কতটা? এই মুহূর্তে ভারতের জনসংখ্যা কত? ইত্যাদি ইত্যাদি...
উত্তর দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন জ্যোতি বসু। শেষে একটা সময়ে আর থাকতে না পেরে তিতিবিরক্ত হয়ে সামনে বসা সীতারাম ইয়েচুরিকে তিনি বাংলায় জিজ্ঞাসা করলেন, এ কি আমার ইন্টারভিউ নিচ্ছে না কি?
এই হচ্ছেন জ্যোতি বসু।
ফেরার বিমান ধরার জন্য পরের দিন জ্যোতি বসু যখন হাভানা বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন, তখন জানা গেল ফিদেল কাস্ত্রো তাঁকে বিদায় জানাতে সেখানে এসেছেন।
এর আগে সীতারাম ইয়েচুরি জ্যোতি বসুর সঙ্গে প্রথম বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন ১৯৮৯ সালে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র--- নেপালে।
তিনি নেপাল সরকারের রাষ্ট্রীয় অতিথি ছিলেন। তাই জ্যোতি বসুর সফরসূচীতে পশুপতিনাথ মন্দির দর্শনও রাখা হয়েছিল।
বাবা মান্য করতেন বলে যিনি শুধু লোকনাথ বাবাকেই মানতেন, এমনকি বাড়ি থেকে বেরোবার সময় তাঁর ছবির দিকে একবার তাকিয়ে বাড়ির চৌকাঠের বাইরে পা রাখা ছাড়া আর কোনও দেব-দেবীকেই মানতেন না, নাস্তিক বলে খ্যাত সেই জ্যোতি বসুকে ইয়েচুরি জিজ্ঞেস করেছিলেন, মন্দিরে যেতে চান না বলে দিলেন না কেন?
জ্যোতি বসু বলেছিলেন, ভারতে আসা প্রত্যেক বিদেশি অতিথিকে রাজঘাটে (গান্ধীজির স্মারকস্থল) নিয়ে যাওয়া হয়, সেই অতিথির গান্ধীর মতাদর্শে বিশ্বাস থাক বা না থাক। সেই একই রকম ভাবে নাস্তিক হওয়া সত্ত্বেও আমাদের পশুপতিনাথ মন্দিরে যাওয়া উচিত।
এই হচ্ছেন জ্যোতি বসু।
জ্যোতি বসুর পুত্রবধূ ডলি বসু একবার বলেছিলেন, আমার বিয়ের একদিন পরেই আমি খুব জ্বরে পড়ি। পরের দিন সকালে আমি তখনও বিছানায় শুয়ে আছি। রান্নাঘর থেকে কয়েকটা বাসনকোসন পড়ার আওয়াজ পেলাম। গিয়ে দেখি, আমার শ্বশুরমশাই একটা বাসনে জল গরম করছেন। আমাকে দেখে বললেন, তোমার তো জ্বর হয়েছে। ঠান্ডা লাগিয়ো না। যাও, গিয়ে শুয়ে পড়ো। আমি আসছি। খানিক পড়ে দেখি, আমার জন্য উনি নিজেই চা বানিয়ে নিয়ে এসেছেন।
এই হচ্ছেন জ্যোতি বসু।
এটা হয়তো অনেকেই জানেন না যে, তাঁর বাবা চা খেতে বারণ করেছিলেন বলে জ্যোতি বসু ২১ বছর বয়সে জীবনে প্রথম চা খেয়েছিলেন।
একবার চেন্নাইয়ের লায়োলা কলেজের একটা অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি একটা মজার ঘটনা বলেছিলেন।
তিনি যখন কলকাতার ধর্মতলার লরেটো স্কুলে পড়তেন, সেই সময়ে গোটা ক্লাস ভর্তি মেয়েদের মধ্যে তিনিই ছিলেন একমাত্র ছেলে।
এই কথা শুনে লায়োলা কলেজের অনুষ্ঠানে খুব হাততালি পড়েছিল। এটা শুনে কয়েক জন সিটিও মেরেছিল। এক বুক সাহস নিয়ে একটি ছেলে উঠে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল, স্যার, ক্লাসের অতগুলো মেয়ের সঙ্গে আপনি কী করতেন?
জ্যোতি বসু সচরাচর হাসতেন না। তাঁর মুখে হাসি দেখতে পাওয়াটা ছিল খুবই দুর্লভ। কিন্তু লায়োলা কলেজের অনুষ্ঠানে ওই প্রশ্ন শুনে সেই দুর্লভ হাসিটাই সে দিন তাঁর মুখে খেলে গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, ওই বয়সে অতগুলো মেয়ের মধ্যে একটা ছেলে কী-ই বা করতে পারে !
এই হচ্ছেন জ্যোতি বসু।
জ্যোতি বসুর সুরক্ষার দায়িত্বে ছিলেন এম কে সিং। তিনি একবার একটা মজার ঘটনা বলেছিলেন। বলেছিলেন---
জ্যোতি বসু যখনই হিন্দি বলতেন তার মধ্যে প্রায় সব সময়েই কয়েকটা উর্দু শব্দ ব্যবহার করতেন। তার মধ্যে 'নুমায়েন্দা' শব্দটা তাঁর খুব প্রিয় ছিল। বামফ্রন্টের বাকি সব মন্ত্রীদের মিলিত হিন্দি জ্ঞানের থেকেও জ্যোতি বসুর হিন্দি অনেক ভাল ছিল। কিন্তু তাঁর ভাষণের বৈশিষ্ট্য ছিল অসম্পূর্ণ বাক্য।
আর যে কোনও বৈঠক, তা সে জনাপাঁচেক লোকের বৈঠকই হোক বা বিধানসভায় কোনও গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ, একটা কাগজে বক্তব্যের মূল পয়েন্টগুলো তিনি লিখে নিয়ে যেতেন, যাতে কোনও পয়েন্ট ভুলে না যান। কিন্তু সেই সব পয়েন্টগুলো ইংরেজিতে লেখা থাকত।
জ্যোতি বসুর মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন অর্থনীতিবিদ অশোক মিত্র। নিজের আত্মকথায়, তিনি লিখেছেন, একবার আমি জ্যোতি বাবুর কাছে জানতে চেয়েছিলাম বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ইংরেজিতে লেখেন কেন? তিনি বলেছিলেন, কী করব? আমি শুধু ইংরেজিতেই লিখতে পারি। তোমার মতো আমার শিক্ষা তো সম্পূর্ণ হয়নি।
এই হচ্ছেন জ্যোতি বসু।
মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। ১৯৭৭ সালের ২১ জুন প্রথমবারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। তার পর থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত একটানা ২৩ বছর বাংলাকে শাসন করেছেন তিনি।
ছাত্রাবস্থায় ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করতে গিয়েই প্রথম কমিউনিস্ট ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ হন। কমিউনিস্ট পার্টি করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন মুজফফর আহমেদ ওরফে কাকা বাবুর কাছ থেকে ঠিকই, কিন্তু দার্শনিক রজনী পাম দত্তই ছিলেন তাঁর প্রথম গুরু।
জ্যোতি বসু ব্যারিস্টার ছিলেন বটে, কিন্তু একবারের জন্যও প্র্যাকটিস করেননি, কারণ ইচ্ছে ছিল পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী হওয়া।
যিনি পার্টির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, ১৯৬৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে যখন ৩১ জন সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, তখন তার মধ্যে জ্যোতি বসুও ছিলেন।
১৯৪০ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ নেন। ১৯৪৬ সালে অবিভক্ত বাংলা প্রদেশের প্রাদেশিক আইনসভায় কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিও হন। দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময় পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৬৭ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর অর্থমন্ত্রক এবং পরিবহণ দফতরের দায়িত্বও পেয়েছিলেন তিনি।
১৯৬৪ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ভাগ হওয়ার সময় তিনি যোগ দেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) অর্থাৎ সিপিএম-এ। ১৯৬৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি সিপিআই (এম)-এর পলিটব্যুরো সদস্যও ছিলেন।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাটন তুলে দেন।
শোনা যায়, একবার নয়, দু'-দু'বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য জ্যোতি বসুকে অনুরোধ করেছিলেন স্বয়ং রাজীব গান্ধী। সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং যাদবও প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য জ্যোতি বসুর নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করতে রাজি না হওয়ায় সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
একটানা ২৩ বছর বাংলাকে শাসন করেছে যে মস্তিষ্ক, জ্যোতি বসুর সেই মস্তিষ্ক এখনও বেঙ্গালুরুর NIMHANS-এ সংরক্ষিত আছে।
১৭ জানুয়ারি, ২০১০ নবরত্নের শেষ রত্ন (কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদী) জ্যোতি বসু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন সল্টলেকের এক বেসরকারি নার্সিং হোমের সাদা চাদরে মোড়া কেবিনে। আজও সেই কেবিনটি জ্যোতি বসুর স্মৃতিকে সম্মান জানানোর জন্য অবিকল রেখে দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধার্থ সিংহ
কোলকাতা, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত
বিষয়: সিদ্ধার্থ সিংহ

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: