মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের জন্য কাজ করছে মানবাধিকার কমিশন


প্রকাশিত:
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০২:৩৯

আপডেট:
৫ মে ২০২৫ ০৩:৩৬

 

প্রভাত ফেরী: মালয়েশিয়ায় পুলিশ কর্তৃক একজন অভিবাসী কর্মীকে মারধরের অভিযোগ তদন্ত করবে দেশটির মানবাধিকার কমিশন (সুহাকাম)। অভিযোগ রয়েছে যে, ইলেকট্রিক পণ্য উৎপাদক মার্কিন কোম্পানি ডাইসন এর সাপ্লাই কোম্পানি এটিএ এর একজন বিদেশি (নেপালি) কর্মীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের সময় মারধর করেছে।

সুহাকামের কুয়ালালামপুর সদর দফতরে ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার কমিশনার জেরাল্ড জোসেফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, কর্মীকে অতিরিক্ত খাটুনি এবং যৌক্তিক মজুরি না দেওয়ার কারণে সে রিপোর্ট করার পর তার সাথে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে কর্মীর কাছে থেকেও সাক্ষ্য নেওয়া হবে। নির্যাতনের অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে পুলিশের আচরণ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে।

সম্প্রতি, পুলিশ কর্তৃক নির্যাতিত বিদেশি কর্মী যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ৪ নিউজে দাবি করেছে যে ২০২১ সালে জোহরের লারকিন থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে বারবার মারধর করা হয়েছিল। তিনি বলেন এটিএআইএমএস-এ কাজের অবস্থার তথ্য ফাঁস করার জন্য একজন শ্রম অধিকার কর্মী তাকে অর্থ প্রদান করেছিলেন, বিষয়ে স্বীকারোক্তির জন্য পুলিশ মারধর করেছিল তাকে।

বুধবার সকালে সুহাকামের সাথে বৈঠকের পর শ্রম অধিকার বিষয়ক এলএলআরসি বলছে এই কেলেঙ্কারি সমাধানে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের ভূমিকা রয়েছে। এলএলআরসি-এর সহ-চেয়ারপার্সন এন গোপাল কিশনাম চেয়েছিলেন সুহাকাম পুলিশের বর্বরতার অভিযোগের একটি গণশুনানি করুক।

এলএলআরসি-এর আইরিন জেভিয়ার আশা করছেন যে, লিম্বু দেশের বাইরে থাকা সত্ত্বেও সুহাকাম এ বিষয়ে কাজ করবে। তিনি বলেন “স্বাভাবিক শ্রম প্রক্রিয়া ব্যবহার করে এই ধরনের মামলা করা কঠিন। আর সেজন্যই আমরা সুহাকামে এসেছি।”

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top