বাংলাদেশে করোনায় নতুন মৃত্যু ৯, আক্রান্ত বেড়ে দাড়াল ৫ হাজার
 প্রকাশিত: 
 ২৫ এপ্রিল ২০২০ ২১:৪১
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:২১
                                
প্রভাত ফেরী: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বাংলাদেশে মৃত্যু বরণ করেছে আরো ৯ জন এবং নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লো আরো ৩০৯। ফলে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগে দেশে সব মিলিয়ে মৃত্যু ১৪০ এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯৯৮ জনে। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৪ জন।
শনিবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তররের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
বুলেটিনে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, গত একদিনে মৃত্যুবরণকারী ৯ জনের বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সাত জনের বয়স ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে একজন রয়েছেন। এই ৯ জনের মধ্যে ঢাকা শহরের তিন জন এবং ঢাকার বাইরের ছয় জন। ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জের দুই জন, টাঙ্গাইলের একজন, মাদারীপুরে একজন, ময়মনসিংহের একজন এবং জয়পুরহাটে দুই জন রয়েছেন।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোয়ারেন্টিনে আছেন ১৪০ জন এবং এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৩৯৫ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৯৬ হাজার ১৬৯ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৭৪ হাজার ৪৯১ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬ হাজার ৪৮০ জন। মোট কোয়ারেন্টিন আছেন ৮০ হাজার ৯৭১ জন।
করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত দুই প্রতিষ্ঠানের চিত্র তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালেও অক্সিজেন সিলিন্ডারের কোনো ঘাটতি বা সঙ্কট নাই। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৪৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে। যদিও এখানে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ নেই। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালেও ১২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ১২টি মিনি ফোল্ড অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা আছে।
অক্সিজেন সরবরাহের আরও চিত্র তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, অনেক মেডিকেল কলেজ এবং বিশেষায়িত হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা আছে। কোভিড-১৯ উপলক্ষে আরও তিন হাজার ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো দেশে এসে পৌঁছাবে। তাছাড়া ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলি পুনরায় ভর্তি করার জন্য সর্বাত্মকভাবে দ্রুততম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কাজেই যে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এটা অসম্পূর্ণ ও পুরনো তথ্য।
বিষয়: করোনা

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: