এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কিছু নেই: নরেন্দ্র মোদি
 প্রকাশিত: 
 ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:১০
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ২১:৩৩
                                প্রভাত ফেরী ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার নিউ ইয়র্কে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মোদি এই আশ্বাস দেন। বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রয়েছে। তাই এ ধরনের ইস্যু নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই।’
নিউইয়র্কের বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আন্তরিক পরিবেশে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এ কে আবদুল মোমেন বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই বৈঠক খুবই সৌহার্দ্যমূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে এনআরসি, অভিন্ন নদীর পানি বন্টনসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এনআরসি ইস্যুর কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই উদ্বেগজনক।
জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এনআরসি ও পানি বন্টনের মতো ইস্যুগুলোকে আমরা সহজভাবে নিতে পারি। কারণ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।’
বৈঠকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ নরেন্দ্র মোদি। তিনি এ সময় ন্যায়বিচার ও মানবতার পক্ষে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রাম এবং সাধারণ মানুষের প্রতি তার শ্রদ্ধার কথাও গভীরভাবে স্মরণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট প্রকাশিত ভারতের আসাম রাজ্যের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) থেকে বাদ পড়েছেন রাজ্যের ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন বাসিন্দা। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি-র দল বিজেপি-র ইশতেহারে অন্যতম ইস্যু ছিল এই নাগরিক তালিকা চূড়ান্ত করা। এ বছরের গোড়ার দিকে কথিত অনুপ্রবেশকারীদের (বাংলাভাষী মুসলিম) ‘উইপোকা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন বিজেপি নেতা ও ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা বাংলার মাটিতে উইপোকার মতো। বিজেপি সরকার তাদের এক এক করে তুলে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে। অমিত শাহ তার বক্তব্যে অবৈধ মুসলিম অভিবাসী বলতে তাদের বাংলাদেশি হিসেবে ইঙ্গিত করেন।
বিষয়:

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: