আবরার হত্যায় অনিকের জবানবন্দি, স্ট্যাম্প দিয়ে টানা ১ ঘন্টা পিটিয়েছি
 প্রকাশিত: 
 ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০৬
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ২১:৩৭
                                প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে স্ট্যাম্প দিয়ে দুই দফায় শতাধিক আঘাত করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক (বহিষ্কৃত) অনিক সরকার অপু।
আবরার হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা ও অন্য আসামিদের নাম প্রকাশ করে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন অনিক। শনিবার অনিক সরকারকে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে হাজির করে পুলিশ।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন, মামলার আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল ও মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অনিক সরকার অপুর নাম প্রকাশ করেন। পুলিশ রিমান্ডে অনিক সরকার অপু স্বীকার করেন যে, সে ঘটনার সময় দুই দফায় স্টাম্প দিয়ে আবরার ফাহাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক আঘাত করেন।
জবানবন্দিতে অনিক বলেছে, 'ওকে আগে থেকেই শিবির বলে সন্দেহ করা হতো। যখন ওর কক্ষ থেকে ধরে আনা হয় তখন সে আবোল-তাবোল কথা বলছিল। ওর মোবাইলে ইসলামী গান ও গজল পাওয়া যায়। যখন ও শিবিরে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে এলোমেলো কথা বলছিল, তখন মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করি। দুই দফায় মেরেছি। একবার টানা এক ঘণ্টা পিটিয়েছি।' তবে এখনও এ ঘটনায় অনুতপ্ত নয় অনিক।
অনিক অনিয়ন্ত্রিতভাবে আবরারকে পিটিয়েছে: ইফতি
আরেক আসামী ইফতি মোশাররফ ওরফে সকাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বীভৎস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে বলেছে, বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ক্রিকেটের স্টাম্প আর প্লাস্টিকের মোটা দড়ি (স্কিপিং রোপ) দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরমধ্যে অনিক সরকার স্টাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি শতাধিক আঘাত করেন। অনিক খুবই অনিয়ন্ত্রিতভাবে আবরারকে মারতে থাকেন। তার মারা দেখে সবাই ভয় পেয়ে যান।
জবানবন্দিতে ইফতি আরও বলেন, অনিকের মারে একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন আবরার। তাকে মাটি থেকে তুলে আবারও পেটাতে থাকেন তারা। ঘণ্টা কয়েক পর বমি করতে শুরু করেন আবরার। তিনবার বমি করার পর নিস্তেজ হয়ে যান।
বিষয়:

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: