৪২ লাখ টাকায় বিক্রি হলো মাশরাফির ব্রেসলেটটি
প্রকাশিত:
১৮ মে ২০২০ ২০:০৭
আপডেট:
১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৯
প্রভাত ফেরী: মাশরাফির হাতের ব্রেসলেটটি ৪২ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রবিবার (১৭ মে) নিলামে ব্রেসলেটটি কিনে নিয়েছে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বিএলএফসিএ। এই অর্থ দিয়ে মাশরাফির ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে অসহায় মানুষদের।
রোববার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয় ব্রেসলেটের নিলাম। সেখানেই আগ্রহীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মাশরাফির ব্রেসলেট কিনতে।
শেষ পর্যন্ত মাশরাফির ব্রেসলেটটি বিক্রি হলো অবিশ্বাস্য দামে। ৪২ লাখ টাকায় সেই ব্র্রেসলেটটি কিনে নিয়েছেন বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানি অ্যাসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ )। তাদের পক্ষে নিলামে অংশ নেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম। তিনি আবার আইপিডিসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
অবশ্য ক্রেতারা এটি মাশরাফিকে উপহার হিসেবে ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে মুমিনুল ইসলাম মাশরাফির উদ্দেশে বলেছেন, ‘অ্যাসোসিয়েশনের সবাই একবাক্যে রাজি হয়ে গেছে। একটা ভালো কাজে যদি ব্যয় হয় এবং বাংলাদেশের অধিনায়ককে যদি সম্মান জানানো যায়, এর চেয়ে ভালো কিছু আর হয় না। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপনাকে বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটা উপহার দেবো।’
বাংলাদেশে লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাশরাফি বলেছেন, ‘ধন্যবাদ মুমিন ভাই, আপনি অনেক কিছু করেছেন। আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে এটা দিতে আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগবে না। আপনারা যেহেতু আমাকে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটা উপহার দিচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত আমি এটা খুলে রাখবো।’
জানা যায়, ক্যারিয়ারের শুরু থেকে অবশ্য এই ব্রেসলেটটি পরতেন না মাশরাফি। শুরুতে বাংলাদেশ লেখা রিস্ট ব্যান্ড পরলেও কিছুদিন পর ধাতব ব্রেসলেটটি পরা শুরু করেন। ব্রেসলেটটিতে মাশরাফির নাম খোদাই করা আছে। শুরুতেই দুঃখ প্রকাশ করেন মাশরাফি। দেড়যুগের সঙ্গী ব্রেসলেটের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘বাবার ভয়ে আমি সানগ্লাস ও ব্লেসলেট পরতাম না। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমার এই দুটো জিনিসের প্রতি আবেগ ছিল। যখন ক্রিকেট শুরু করি, তখন এই দুটো জিনিস আমি পরার সুযোগ পাই। রূপা বা অন্য কোনও ধাতু নয়, এটি স্রেফ স্টিলের একটা জিনিস। আমার মামা তার দোকান থেকে বানিয়ে দিয়েছিলেন। কয়েকটি ম্যাচা ছাড়া আন্তর্জাতিক সব ম্যাচেই আমার সঙ্গী ছিল এই ব্রেসলেট। বেশিরভাগ ম্যাচেই এটা নিয়ে খেলেছি, অপারেশন আর এমআরআই করা ছাড়া এটা কখনও খুলে রাখা হয়নি। আমার ভালোমন্দ সবকিছুর সঙ্গেই ব্রেসলেটটি জড়িত।’
হুট করে মাশরাফির নিলামে যোগ দেন তামিম। যোগ দিয়েই খুনসুটিতে মেতে ওঠেন বাংলাদেশের সেরা ওপেনার। তিনি বলেন ‘বাসার সবই তো বিক্রি করে দিচ্ছেন? কিছু জমিয়ে টমিয়ে রাখেন। ছেলে-মেয়েদের তো কিছু দেখাতে হবে।’ প্রত্যুত্তরে মাশরাফি বলেন, ‘যা আছে, সেগুলোই তো ওরা দেখে শেষ করতে পারবে না।’
বিষয়: মাশরাফি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: