সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৪, ১৮ই আশ্বিন ১৪৩১


বিদায় ফুটবল জাদুকর ম্যারাডোনা, বিদায় : মু: মাহবুবুর রহমান  


প্রকাশিত:
২৬ নভেম্বর ২০২০ ২২:৩৩

আপডেট:
৩ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:০১

ছবিঃ ম্যারাডোনা

 

অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়। চলে গেলেন কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়াগো আরমান্দো ম্যারাডোনা! যাকে আমরা সবাই ম্যারাডোনা নামেই চিনি। কতই বা বয়স হয়েছিল, মাত্র ৬০ বছর, তাও চলে যেতে হলো।  কদিন আগেই ৬০তম জন্মদিন পালন  করেছিলেন, অসুস্থতায় ভুগছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, সেখান থেকে ফিরেও এসেছিলেন। এবার ফুটবলভক্তদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন চিরতরে, যেখান থেকে কেউ আর ফিরে আসে না। তবে ম্যারাডোনা আছেন এবং থাকবেন তাঁর শত কোটি ভক্তের হৃদয়ে।   

 

ম্যারাডোনার ফুটবল কেরিয়ার 

১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে জন্মগ্রহন করা ম্যারাডোনা খেলা শুরু করেছিলেন মাত্র ১০ বছর বয়সে, আর্জেন্টিনার জুনিয়র টিমে। তবে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৭৬ সালে ফুটবলের অসাধারণ নৈপুন্য দেখিয়ে নিজের জায়গা করে নেন সিনিয়রদের টিমে।  

আর জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিল ১৯৭৭ সালে হাঙ্গেরীর সাথে প্রীতি ম্যাচে, ৬৫ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে। সেবার আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে নেমেছিলেন। ১৯৭৮ এ বয়স কম হওয়ার কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন। তবে ১৯৭৯ তে আর্জেন্টিনার আন্ডার-টোয়েন্টি টিমের প্রথম বিশ্বকাপ বিজয় অর্জিত হয়েছিল ম্যারাডোনার অংশগ্রহণে । 

জাতীয় দলের পাশাপাশি ম্যারাডোনা খেলেছেন ১৯৮১ সালে আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে। তবে মাত্র এক মৌসুম। কিন্তু তাতেই করেছিলেন বাজিমাত! মনোমুগ্ধকর এক সলো গোলে প্রতিপক্ষ রিভার প্লেটকে হারিয়ে নিজ ক্লাবকে করান মৌসুম সেরা৷ বোকা জুনিয়র্স ছিল তার স্বপ্নের ক্লাব। 

এরপর নিজ দেশের ক্লাব ছেড়ে ১৯৮২ সালে সবচেয়ে বেশি রেকর্ড ফি ৫ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সেলোনায় যোগ দেন তিনি। কাতালানদের জন্য তার সর্বোচ্চটা দেয়ার পথে বাধ সাধে ইনজুরি। ১৯৮৩ সালে বিলবাও এর সাথে এক ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েন তিনি। ইনজুরি থেকে ফিরে ১৯৮৪ সালে যোগ দেন ইতালীয়ান ক্লাব নাপোলিতে।  

১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই বিশ্বকাপ এনে দেন ম্যারাডোনা। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাম-হাত দিয়ে গোলটি করেন ম্যারাডোনা। রেফারি ভেবেছিলেন হয়তো মাথা দিয়েই জালে জড়িয়েছে  বল। তাই গোলের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল। এই গোলটিকে ঈশ্বরের আশীর্বাদেই হয়েছে বলে অনেকেই দাবি করেন। তাই গোলটির নাম দেয়া হয় ‘হ্যান্ড অব গড’।  ১৯৮৬ বিশ্বকাপে একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর থেকেই ফুটবল বিশ্বে অবিসংবাদিত  কিংবদন্তিতে পরিণত হন ম্যারাডোনা। 

 

ফুটবল ক্লাব নাপোলিকে ১৯৮৭ সালে প্রথম এবং ১৯৯০ সালে দ্বিতীয় বারের মতো তিনি সিরি আ লীগ টাইটেল এনে দেন। তাছাড়া ১৯৮৭ সালে ইতালিয়ান কাপ ও ১৯৯১ সালে উয়েফা কাপও নাপোলির ঘরে আসে এই ফুটবল জাদুকরের হাত ধরেই। 

১৯৮৬ এর পর ১৯৯০ এবং ১৯৯৪ সালে আরও দুটি বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে অংশ নিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। ১৯৯০ সালে তার নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা রানার্স আপ হয় এবং ১৯৯৪ সালে গ্রীসের বিপক্ষে খেলার মাধ্যমে দেশের হয়ে শেষ খেলা খেলেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সি খুললেও ক্লাবের হয়ে খেলে গিয়েছিলেন ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। 

নিজে ফুটবল ছাড়লেও ফুটবলের সঙ্গে সখ্যতা ছিল ম্যারাডোনার। ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপে ছিলেন তারকা বহুল আর্জেন্টাইন ফুটবল দলের কোচ৷ তবে সে যাত্রা খুব একটা সুখকর হয়নি তাঁর। কোয়ার্টার ফাইনালেই থেমে যায় মেসিদের জয়রথ। সেই সাথে শেষ হয় ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পর্কটাও। এরপর নিজ দেশের, দেশের বাইরের নানা ক্লাবে কোচিং করালেও থিতু হননি কোথাও।  

সর্বশেষ আর্জেন্টাইন ক্লাব জিমনাসিয়ার কোচ ছিলেন ম্যারাডোনা। ৬০তম জন্মদিনে  সর্বশেষ এসেছিলেন তাঁর দল জিমনাসিয়ার ম্যাচ দেখতে। আর ২০২০ এর ২৫ নভেম্বর গোলবারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা সতর্ক গোলকিপারকে ফাঁকি দেওয়ার মতোই বিশ্বজুড়ে লাখো ভক্তের চোখকে  ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। 

 

সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে, পেলে নাকি ম্যারাডোনা? 

১৭ বছর বয়সেই বিশ্বমঞ্চ মাতানো পেলে ক্যারিয়ার শেষ করেছেন তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের গর্ব নিয়ে। আর ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক, বহুল প্রচলিত কথাটা —আর্জেন্টিনাকে সেবার বিশ্বকাপটা একাই জিতিয়েছেন ম্যারাডোনা। ফিফার ভোটে ম্যারাডোনা ও পেলে দুজনই গত শতাব্দীর সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন। ম্যারাডোনা জনসাধারনের ভোটে আর পেলে ফিফা নির্ধারিত বিচারক-সাংবাদিক-কোচদের ভোটে। 

প্রায় ৬০ মিটার দূর থেকে বল নিয়ে এগিয়ে প্রতিপক্ষের পাঁচজনকে বোকা বানিয়ে এক গোল করেছিলেন ডিয়োগো ম্যারাডোনা ১৯৮৬ সালে। ২০০২ সালে ফিফা অনলাইনে ভোটের আয়োজন করলে এই গোলটি ‘শতাব্দীর সেরা গোল (গোল অব দ্য সেঞ্চুরি)’ হিসেবে নির্বাচিত হয়। আবার যদি প্রশ্ন করা হয় ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আলোচিত দুটো গোল কী কী? উত্তর অবশ্যই ‘হ্যান্ড অব গড’ এবং ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, দুটো গোলই হয়েছিল চার মিনিটের ব্যবধানে! এবং এর কারিগর ছিলেন ম্যারাডোনা।   

আর কালো মানিক খ্যাত পেলে ফুটবল ইতিহাসে তিনটি বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র ফুটবলার। দুই পা আর মাথা ব্যবহার করে ফুটবল নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করার ক্ষমতা ছিল পেলের। খেলোয়ারি দক্ষতা ও চিন্তায় পেলে ছিলেন যোজন যোজন এগিয়ে। বর্তমানে আধুনিক ফুটবলাররা মাঠে যে কারুকাজ দেখান সেসব ৬০ এর দশকে করে দেখিয়েছেন ব্রাজিলিয়ানদের প্রিয় কালো মানিক। চারটি বিশ্বকাপে ১৪ ম্যাচ খেলে ১২ টি গোল করেছেন পেলে। আর ম্যারাডোনা বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলেছেন ২১টি। নিজে পাঁচ গোল করেছেন; সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও পাঁচটি গোল।  

সর্বকালের কে সেরা ফুটবলার, এ বিতর্কেও হয়তো কোন মীমাংসা কখনোই হবে না। ‘লা নোচে ডেল’ ( দশ নম্বরের রাত) নামে একটা টিভি প্রোগ্রাম করতেন ম্যারাডোনা। ওই প্রোগ্রামে অংশ নিতেন বিশ্বের সব নামী-দামী লোকজন। ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ছাড়াও শো-বিজের খ্যাতিমানরাও আসতেন ওই অনুষ্ঠানে। যা হোক, একবার ওই প্রোগ্রামে এসেছিলেন পেলে। উপস্থিত দর্শকরা ছেঁকে ধরলেন দুজনকেই। সবার দাবি, সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে, এটা আজ আপনারা দুজন ফয়সালা করে দিয়ে যান। প্রথমে পেলে। কূটনীতির কায়দায় পেলে খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে বললেন, “ফুটবল উপভোগের বিষয়। কেন প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা আসছে। আর তাছাড়া দু সময়ের দুজন …।”  

তবে ঐসব কেতাবি কিংবা কূটনীতির কথার ধার দিয়েও গেলেন না ম্যারাডোনা। বললেন, “এর উত্তর খুব সোজা। পেলের মা মনে করেন, পেলে সর্বকালের সেরা ফুটবলার। আর ম্যারাডোনার মা মনে করেন ম্যারাডোনা সর্বকালের সেরা।” 

 

শোকাহত ফুটবল বিশ্বসহ পুরো দুনিয়া 

অবিসংবাদিত কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনার মৃত্যুতে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সারা বিশ্বের সবার কাছেই বড় এক ধাক্কা হয়ে এসেছে এ খবর। তবে ম্যারাডোনার মৃত্যুকেই তার চিরবিদায় হিসেবে মানতে রাজি নন আর্জেন্টিনার বর্তমান অধিনায়ক লিওনেল মেসি। বর্তমান ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার বিশ্বাস করেন, ম্যারাডোনা চির অমর হয়ে থাকবেন ফুটবল ইতিহাসে। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসি লিখেছেন, ‘সব আর্জেন্টাইন ও সারা বিশ্বের সবার জন্য কষ্টের একটি দিন। তিনি আমাদের ছেড়ে গেছেন; কিন্তু চলে যাননি। দিয়েগো অমর। আমি তার সঙ্গে কাটানো সব সুন্দর মুহূর্ত নিজের কাছে রেখে দিয়েছি। শান্তিতে থাকুন ম্যারাডোনা। 

সর্বকালের সেরা ফুটবলারের দৌড়ে ম্যারাডোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী যিনি, সেই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে যেন যথাযথ ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না ম্যারাডোনার মৃত্যু সংবাদে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে সংক্ষিপ্ত এক বার্তায় পেলে লেখেন, ‘কী দুঃখের একটা খবর! আমি সত্যিকারের একটা বন্ধু হারালাম, বিশ্ব হারাল এক কিংবদন্তিকে। তার ব্যাপারে বলার শেষ নেই। তবে এখন শুধু বলব, ঈশ্বর তার পরিবারকে শক্তি দিন। আশা করি, একদিন আমরা ওপরে একসঙ্গে ফুটবল খেলব।’ 

সর্বকালের সেরা দৌড়বিদ উসাইন বোল্ট ম্যারাডোনার মৃত্যুতে টুইট করেন, ‘শান্তিতে ঘুমান কিংবদন্তি।’ ম্যারাডোনার ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির টুইট, ‘সব সময় আমাদের হৃদয়ে থাকবে। বিদায়, দিয়াগো।’ 

ক্রিকেট কিংবদন্তি সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক শচিন টেন্ডুলকার ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ জয়ের ছবি আপলোড করে লিখেছেন, 'ফুটবল এবং ক্রীড়াবিশ্ব আজ তার অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে হারিয়েছে। শান্তিতে থাকুন দিয়াগো ম্যারাডোনা! আপনার অভাব পূর্ণ হবার নয়।' 

শৈশবের নায়ককে হারিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ম্যারাডোনার সঙ্গে তোলা একটি ছবি আপলোড করে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক ও বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি লিখেছেন, 'আমার নায়ক আর নেই... আমার পাগল প্রতিভা শন্তিতে থাকুন... আমি আপনার জন্য ফুটবল দেখতাম।' 

নিজের ফেইসবুক পেইজে ম্যারাডোনাকে নিয়ে বিশাল একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন আর্জেন্টিনাভক্ত টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিব লিখেছেন, ‘এমন কয়েকজন খেলোয়াড় থাকে যাদের জনপ্রিয়তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে যায়। যারা সব প্রজন্মের কাছে কিংবদন্তী হয়ে উঠেন। দিয়াগো আরমান্দো ম্যারাডোনা এমনি একজন খেলোয়াড় ছিলেন। বিদায়, দিয়াগো।’ আর ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। 

 

বাংলাদেশ ও ম্যারাডোনা 

বিশ্বকাপ ফুটবল এলেই বাংলাদেশিদের মাঝে ফুটবল উন্মাদনা ছড়িয়ে যায়। বাংলাদেশিদের অধিকাংশই হয়তো ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার সমার্থক। আর বাংলাদেশে আর্জিন্টিনার সমর্থন গড়ে উঠেছে মূলত: ম্যারাডোনা কেন্দ্রিক।  বলা যায় বাংলাদেশের মানুষের মনে ফুটবলপ্রেমের বীজ রোপন করে দিয়েছেন একজন—তিনি ম্যারাডোনা! 

ফুটবলের রাজা পেলের খেলা টেলিভিশনে সরাসরি দেখার সৌভাগ্য বাংলাদেশের ক’জন মানুষের হয়েছে জানা নেই। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০—পেলে ব্রাজিলের হয়ে যে তিনবার বিশ্বকাপ জিতেছেন, বাংলাদেশের ক’জন মানুষই বা তা দেখতে পেরেছে? সেদিক থেকে বলা যায় ফুটবলের কোনো মহানায়কের খেলা সরাসরি টেলিভিশনে দেখার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মানুষের হয়েছে ম্যারাডোনাকে দিয়েই। 

১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার মনোমুগ্ধকর ফুটবলের অন্য একটা গুরুত্ব আছে বাংলাদেশের  মানুষের কাছে। সেবারই প্রথম বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বকাপ দেখে রঙিন টেলিভিশনে। আর আমি তখন পড়তাম ক্লাস নাইনে।  মনে পড়ে আমার থানাতে তখন খুব কম সংখ্যক টিভি সেট ছিলো।  আমরা দলবেঁধে গিয়ে হাজির হয়েছিলাম উপজেলা কমপ্লেক্স এর টিভিতে বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল তথা ম্যারাডোনার জাদুকরী ফুটবল দেখতে। ১৯৮৬ এর পরেই মূলত: বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি হয় যা এখনো অব্যাহত আছে।   

 

কিংবদন্তির মৃত্য নেই 

কিংবদন্তির জন্ম একবারই হয়। ফুটবলে দিয়াগো ম্যারাডোনা তেমনই একজন অবিসংবাদিত কিংবদন্তি। এরকম কিংবদন্তিদের মৃত্যু নেই। ম্যারাডোনা অমর হয়ে আছেন আর্জেন্টিনার জার্সিতে। বহুদিন তিনি তাঁর শত কোটি ভক্তর হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন ১০ নম্বর জার্সি নিয়ে। পুরো বিশ্ব ম্যারাডোনাকে মনে রাখবে তাঁর অসম্ভব সুন্দর ফুটবল কারুকার্যের জন্য। মাঠের সবুজ গালিচায় তাঁর পায়ের তুলিতে আঁকা অসংখ্য মুহূর্ত ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতির পাতায় সাজানো থাকবে চিরকাল। 

যে বোকা জুনিয়র্সে দুই দফায় ১৯৮১-৮২ এবং ১৯৯৫-৯৭ মৌসুমে খেলেছেন ম্যারাডোনা, যে বোকা জুনিয়র্সে খেলা শুরু করে ফুটবল কেরিয়ারে উত্থান ঘটে ম্যারাডোনার এবং যেহেতু এ ক্লাবটি ছিল তাঁর স্বপ্নের ক্লাব - তাদের শোক দিয়েই শেষ করবো আজকের লেখা। যদিও ম্যারাডোনাকে নিয়ে লেখা শেষ করা যায়না তবুও শেষ করছি। বোকা জুনিয়র্স তাদের শোক বার্তায় জানায়, 'অশেষ ধন্যবাদ। অমর দিয়াগো।' 

 

মু: মাহবুবুর রহমান  
নিউজিল্যান্ডের মেসি ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top