সিডনী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


ফাইনালে সাকিবের বার্বাডোজ


প্রকাশিত:
১১ অক্টোবর ২০১৯ ২২:২৮

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২১:০২

ফাইনালে সাকিবের বার্বাডোজ

প্রভাত ফেরী, স্পোর্টস ডেস্ক: টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বে শীর্ষ দুই দলের মধ্যে থাকায় ফাইনালে ওঠার জন্য দুইটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল সাকিব আল হাসানের বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের সামনে। প্রথম সুযোগে ব্যর্থ হলেও, দ্বিতীয়বারে ঠিকই বাজিমাত করেছে সাকিবের দল।



২০১৬ সালের পর আবারও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) শিরোপার হাতছানি সাকিব আল হাসানের সামনে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ১২ রানে হারিয়ে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তার দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস।



ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বার্বাডোজ। জবাবে নিজেদের ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতেই ত্রিনবাগো অলআউট হয়ে যায় ১৪৮ রানে, বার্বাডোজ পায় ১২ রানের জয়। 



মৌসুমী বৃষ্টিতে ম্যাচ শুরু হয়েছিল দেড় ঘণ্টা পর। জ্যা পল দুমিনি রিটায়ার্ড হার্টে যেতে বাধ্য হন। ১১২ রানে বার্বাডোজ হারায় ৬ উইকেট। সব কিছুই ছিল তাদের প্রতিকূলে। কিন্তু অ্যাশলে নার্স ও রেমন রেইফারের ঝড়ে ৬ উইকেটে ১৬০ রান তোলে তারা। শেষ দুই ওভারে তাদের জুটিতে এসেছে ৪২ রান। রেইফার ১৮ বলে ২৪ ও নার্স ৯ বলে ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।



ইনিংস সেরা ৩৫ রান ছিল জনসন চার্লসের ব্যাটে। সাকিব তার সঙ্গে ২৪ রানের জুটি গড়েন। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান ১২ বলে একটি করে চার ও ছয়ে ১৮ রান করে খারি পিয়েরেকে ফিরতি ক্যাচ দেন।



ত্রিনবাগোর পক্ষে আলী খান, পিয়েরে ও ক্রিস জর্ডান দুটি করে উইকেট নেন।



রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল ত্রিনবাগো। সাকিব আল হাসানের করা প্রথম ওভার থেকেই ১৬ রান তুলে নেন দুই ওপেনার সুনিল নারিন ও লেন্ডন সিমনস। ফলে সাকিবকে আর আক্রমণেই রাখেননি বার্বাডোজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।



দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে সিমন্সকে ফেরান হোল্ডার, পরের ওভারের প্রথম বলে নারিনকে সাজঘরের পথ দেখান হ্যারি গার্নি। তবু প্রথম পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৫২ রান তুলে ফেলে ত্রিনবাগো। যেমন শুরুর দরকার ছিল সেটা পেয়ে যায় তারা। তবে ব্যর্থ হয় ধরে রাখতে।



১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরেন পোলার্ড। তখনও ২৫ বলে ৪১ রান দরকার ছিল ত্রিনবাগোর। মাঝে ১৩তম ওভারে বোলিং করতে এসে ১১ রান খরচ করেন সাকিব। অন্য প্রান্ত থেকে তেমন সহায়তা না পেলেও মাত্র ২২ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে নিজ দলকে জয়ের পথেই রাখেন প্রসন্ন। কিন্তু পারেননি শেষপর্যন্ত।



বার্বাডোজ দলকে ১৬০ রানের লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেয়ার কৃতিত্ব দুই বোলিং অলরাউন্ডার অ্যাশলে নার্স ও রেয়মর রেইফারের। দুজন মিলে শেষের ১৬ বলে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। নার্স ১৮ বলে ২৪ ও রেইফার অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ২৪ রান নিয়ে। ত্রিনবাগোর পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন আলি খান, খ্যারি পিয়েরে এবং ক্রিস জর্ডান।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top