রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে সকলকে সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভুমিকা নিতে হবে
প্রকাশিত:
২০ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:৩৭
আপডেট:
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৮
প্রায় দুই মাস ধরে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সরকারী বাহিনীর নির্মম গণহত্যা অব্যাহত থাকলেও জাতিসংঘ ও বিশ্বসম্প্রদায়ের নিরব দর্শকের ভুমিকা অব্যাহত রয়েছে। তারা শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য বর্ডার খুলে দিয়ে মানবিক আশ্রয় দিতে একাধিকবার বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে । অন্য দিকে মিয়ানমারের সরকারী বাহিনী প্রকাশ্য গণহত্যা বা এথনিক ক্লিনজিং চালিয়ে নিরস্ত্র সাধারণ দরিদ্র মানুষগুলোর বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে। যুবক ও শিশুদের ধরে বীভৎস কায়দায় নির্যাতন করে হত্যা করছে। নারীদের ধর্ষণ করার পর হত্যা করছে। মিয়ানমারের সেনারা হেলিকপ্টার গানশিপ দিয়ে রাখাইন গ্রামগুলোতে বৃষ্টির মত গুলিবর্ষণই করছে না পলায়নপর লোকদের ওপরও গুলিবর্ষণ করছে, হত্যা করছে। গণমাধ্যমগুলোর বিস্ময়কর নীরবতার মধ্যেও কেউ কেউ এসব কর্মকা-কে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সরকারের যুদ্ধঘোষণা বলে অভিহিত করেছে। দশকের পর দশক ধরে নাগরিক স্বীকৃতিহীন ও রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অধিকার বঞ্চিত পশ্চাৎপদ একটি সুসভ্য সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার বিরুদ্ধে বিস্ময়করভাবে মুসলিম দেশগুলো বা ওআইসি’র মত সংস্থাও যথাযথ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তবে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে মালেশিয়া কিছুটা ব্যতিক্রমী ভুমিকা পালন করেছে।
প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা পরিবার প্রাণভয়ে বাংলাদেশসহ আশপাশের দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য ছুটছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত থাকার পরও ইতিমধ্যে অন্তত ২৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে বিভিন্ন গনমধ্যম সূত্রে জানা যায় ।এরই মধ্যে কয়েক হাজার রোহিঙ্গার মৃত্যু ও লক্ষাধিক বাস্তচ্যুত হয়েছে।দিন দিন পরিস্হতি অবনতিই হচ্ছে এবং এ থেকে উত্তরনের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
তাই আমরা মনে করি জাতিসংঘকে মিয়ানমারের এই সঙ্কটকে সমাধানে সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভুমিকা নিতে হবে। এই ব্যাপারে জাতিসংঘে প্রস্তাব পেশ করার জন্য অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জোরালো অংশগ্রহন প্রত্যাশা করি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: