অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত, আটক ৭৪
 প্রকাশিত: 
 ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:১৯
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৯
                                
প্রভাত ফেরী: করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা লকডাউন তুলে নেওয়ার দাবিতে পুরো অস্ট্রেলিয়াজুড়ে বিক্ষোভ করেছেন দেশটির শত শত মানুষ। এই বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
করোনার বিস্তার ঠকাতে ঘরে থাকার নির্দেশনা জারি করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তা মেনে রাস্তায় নেমে উল্টো লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ করার দায়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহর থেকে আরও ৭৪ জনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এর আগে গত সপ্তাহে এরকম বিক্ষোভ থেকে আরও অনেককে আটক করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ায় করোনা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত মেলবোর্নে প্রায় তিনশ মানুষ শহরের চারদিকে গত এক মাস ধরে জারি করা কঠোর লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া সিডনি, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড এবং পার্থের মতো বড় বড় শহরগুলোতেও লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে।
বিবিসির সোমবারের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, এই সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনবিরোধী এই বিক্ষোভ আনুমানিক আড়াইশো মানুষ অংশ নেয়। পুলিশ বলছে, ‘অনেক বিক্ষোভকারী ছিলেন আক্রমণাত্মক এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহিংস আচরণের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।’
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের সরকার লকডাউ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার প্রস্তুতির ঠিক আগমুহূর্তে এমন বিক্ষোভ ও ধরপাকড়ের ঘটনা ঘটলো। মহামারি নতুন করে শুরু হওয়া করোনার সংক্রমণ রোধে জুলাইয়ে মেলবোর্নসহ ভিক্টেরিয়া রাজ্যে ফের লকডাউন সংক্রান্তু বিধিনিষেধ জারি করা হয়।
অস্ট্রেলিয়া করোনার সংক্রমণ রোধে অনেকটা সফল হিসেবে বিবেচিত। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় দেশটিতে করোনার প্রকোপ কম। তবে অস্ট্রেলিয়ায় করোনা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র হচ্ছে ভিক্টোরিয়া রাজ্য। দেশটির মোট করোনা রোগীর ৭৫ শতাংশ এবং কোভিড-১৯ রোগে মোট মৃত্যুর ৯০ শতাংশই রাজ্যটির বাসিন্দা।
নতুন করে সংক্রমণ দেখা দেয়ায় সেখানে সরকার ঘোষিত দুর্যোগ পরিস্থিতির মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সেখানকার পুলিশ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনা কার্যকরের জন্য পেয়েছে অতিরিক্ত ক্ষমতা। এ ছাড়া নিরাপত্তা প্রহরী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বন্ধ করে রাখা হয়েছে ভিক্টোরিয়ার প্রাদেশিক পার্লামেন্ট।
অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ২৬ হাজার ৬০০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে আট শতাধিক মারা গেছে। এ ছাড়া দেশটির প্রায় ২৪ হাজার কোভিড-১৯ রোগী এখন সুস্থ।
বিষয়:

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: