সিডনী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্রিকেট এবার অস্ট্রেলিয়ায়


প্রকাশিত:
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৯

আপডেট:
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:১৩


অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্রিকেটের প্রথম পর্বটি এ বছরের শুরুতে তৃণমূল পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পন্ন করা হয়। এবার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া পর্বের জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় সফলভাবে প্রাথমিক আলোচনা সভা ও পরিচিতি পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। এতে পুরো অস্ট্রেলিয়া জুড়ে বাংলাদেশিদের নেতৃত্বে ক্রিকেটকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলার প্রয়াস রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

বৃহদায়তনের দেশ অস্ট্রেলিয়ার কীভাবে প্রতিটি রাজ্যে এক প্ল্যাটফর্ম থেকে বাংলাদেশিসহ আন্তঃকমিউনিটিতে ক্রিকেটের উন্মাদনা বৃদ্ধি করা যায়, একইসঙ্গে স্থানীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেন অংশ নেওয়া অতিথি ও প্রতিনিধিরা।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় তাজ কারি হাউজে এই অধিবেশনে যোগ দেন পার্থের সংগঠক, ক্রীড়ানুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীরা। উপস্থিত ছিলেন সাবেক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোজাফফর আহমেদ, সংগঠক ও ক্রীড়ানুরাগী আবুহেনা ভুইয়া, লেখিকা মলি সিদ্দিকা, ক্রিকেটার গোলাম মোক্তাদির পমি, সাংবাদিক মারিয়াম মুন, ক্রিকেটার মোহাম্মদ সেজান ও আহ্বায়ক নির্জন মোশাররফ।

অংশ নেন ভারত ও নেপালের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়ানুরাগী শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল, বাংলাভিশনের চিফ রিপোর্টার সুজন মাহমুদ ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার স্পোর্টস জার্নালিস্ট আপন তারিক।

মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, আমি অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ছিলাম। পুরস্কার বিতরণীতেও অংশ নিয়েছি। অত্যন্ত সফল একটি আয়োজন ছিল। আশা করছি অস্ট্রেলিয়াতেও এ আয়োজনটি সার্থক হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমি অস্ট্রেলিয়া পর্বেও অংশ নেব।

অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যেকটি রাজ্যের বলদৃপ্ত সংগঠকরাও ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেন। অনলাইনে উপস্থিতি ছিলেন ভিক্টোরিয়া রাজ্য থেকে মোশারফ হোসেন রেহান (সংগঠক), নিউ সাউথ ওয়ালেস থেকে শাহেনুজামান টিটু (রাজনীতিবিদ), সাউথ অস্ট্রেলিয়া থেকে নাজমুস সাদাত (সংগঠক ও ক্রীড়াবিদ), ড. মিজানুর রহমান (অধ্যাপক ও ক্রীড়াবিদ), মোহাম্মদ আসিফ (ক্রীড়াবিদ) ও কুইন্সল্যান্ড রাজ্য থেকে ডা. জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য রাজ্যের প্রতিনিধিরা।

অনলাইনে সংগঠকরা আগ্রহের সঙ্গে এই আয়োজনটিকে সাধুবাদ জানান ও ‌ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আয়োজনটিতে দুই দেশের উদ্যোক্তাদের ব্যবসা প্রসারের সুযোগসহ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথা উঠে আসে।

আহ্বায়ক নির্জন মোশাররফ অধিবেশনটির শেষাংশে প্রাথমিক পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বড় পরিসরে এই আয়োজনের জন্য সবার সম্মতিক্রমে প্রতিটি রাজ্যে কমিটি গঠনের কাজ বিদ্যমান আছে বলেও জানান। সেইসঙ্গে আনুষ্ঠানিক আয়োজনের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে প্রেস কনফারেন্স করা হবে বলে উল্লখ করেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top