সিডনী রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের বাৎসরিক বনভোজন উদযাপিত


প্রকাশিত:
১৪ নভেম্বর ২০২৩ ০০:০৫

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৬

 

পরিযায়ী পাখির মত আমরা ফিরে ফিরে আসি আমাদের অভয়াশ্রমে। জন্মাতে চাই অতীত সময়ের গর্ভে, ২য় জন্মের আতুড়ঘরে---জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিযায়ী পাখির ন্যায় গত ১১ নভেম্বর, শনিবার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থী উড়ে এসেছিল ওয়েস্টার্ণ সিডনীর Plough and Harrow, Western Sydney Parklands-এ। প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে দিনভর 'বনভোজন'এর আড়ালে এই মিলন মেলায় অংশ নিয়েছিল সিডনী, ক্যানবেরা, মেলবোর্ন নিউক্যাসেল, ওলুংগংসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরের সাবেক শিক্ষার্থীরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন, অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে এই বাৎসরিক বনভোজন ২০২৩ আয়োজন করা হয়।

সকাল ১০টায় বনভোজন ওয়েস্টার্ন সিডনীর ফেয়ারফিল্ড কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রনাধীন পার্কল্যান্ড অঙ্গন এলামনাইদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। শুরুতেই পরিবেশন করা হয় মোঘলাই প্রতরাশ ও মালাই চা। একে একে অনুষ্ঠিত হয় বাচ্চাদের লজেন্স দৌড়, মহিলাদের পিলো পাসিং, পুরুষদের বেলুন পপিং গেইম।

সকাল এগারোটার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রাসেল ইকবাল ও প্রত্যাশা ইকবালের তত্ত্বাবধানে পার্কল্যান্ড প্রাঙ্গন জুড়ে গড়ে তোলা হয় ডেইরী প্রধান গেইট, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া, চৌরঙ্গী ও প্রান্তিক গেইট। স্মৃতিকাতর সাবেক শিক্ষার্থীদের মনের গভীরের তোলপাড় করা এই আয়োজনে শুরু হয় ছবি তোলার হিড়িক। পরিনত হয় নবীন ও প্রবীনের মিলন মেলায়।

দুপুরের পরিবেশিত হয় মধ্যাহ্নভোজ। ছিল অফুরন্ত শীতল কোমল পানীয়, গরম চা, কেক, রসগোল্লা, ঝালমুড়ির আয়োজন।

আড্ডা পাগল জাবিয়ানদের স্মরণকালের মধ্যে বৃহত্তম এই আউটডোর সমাবেশের কাছে ঘড়ির কাটাও হার মানে। পার্ক কর্তৃপক্ষ যখন মুল গেইট বন্ধের উদ্যোগ নেয় তখন সকলের সংবেদন হয় ঘরে ফেরার। হলের ফিরে গিয়ে পুনরায় আড্ডায় মেতে ওঠার সুযোগ না থাকায় সবাইকে ফিরে যেতে হয় নিজ গৃহে। যারা অন্য রাজ্য থেকে এসেছিলেন তারা রাত্রিবাস করে বন্ধুদের বাসায়।

ফিরে যাওয়ার আগে এলমনাইরা আয়োজকদের কাছে শীঘ্রই আরেকটি মিলনমেলার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়ে যান।

বনভোজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ১৯ তম ব্যাচের তাহমিনা বীনা ও ২২ তম ব্যাচের মিকন মোব্শ্বের। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি সাইফ সাকান্দার রাফায়েল, সাবেক আহবায়ক সর্বজন শ্রদ্ধেয় ৮ম ব্যাচের খালেদা কায়সার মিনি।

বক্তব্যে খালেদা কায়সার বলেন, সংগঠন যেকোন উদ্যোগকে সফলতা দান করে। সার্বজনীন করে তোলে। আর্থিক স্বচ্ছতা দান করে। এলামনাই এসোসিয়েশনের এই বনভোজন আয়োজন তারই প্রতিফলন।

সমাপ্তির পুর্বে সাংস্কৃতিক পর্বে কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট নাট্যজন ৮ম ব্যাচের শাহীন শাহনেওয়াজ। সংগীত পরিবেশন করেন বনফুল, লুনিয়া, সূচী, জাওয়াদ প্রমুখ।
সংবাদ প্রেরক- সরদার জুবায়ের


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top