সিডনী শুক্রবার, ১০ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১


বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস পালন


প্রকাশিত:
২০ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:২১

আপডেট:
১০ মে ২০২৪ ০৭:১৪

বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস পালন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অস্ট্রেলিয়া  উদ্যোগে  গত ১২ নভেম্বর   সিডনির স্থানীয় একটি ফাংশন সেন্টারে, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আর নৈশভোজের আয়োজন করা হয় । উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন,  যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং বতর্মান কুমিল্লা উত্তর জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি,অস্ট্রেলিয়া বিএনপিরপ্রধান উপদেষ্টা মনিরুল হক জর্জ, অনুষ্ঠানটির কনভেনর ছিলেন ডা: আব্দুল ওয়াহাব।বিশেষ অতিথি ছিলেন,বীর মুক্তিযুদ্ধা হুমায়ন কবির খান, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দল মুন্নি চৌধুরী মেধা, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জনাব মাজহারুল ইসলাম ও টনি বার্ক-লেবার পার্টি অস্ট্রেলিয়া  ওয়াটসন রিপ্রেজেনটিভ  কার্ল সালেহ  ।



বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অস্টেলিয়া শাখার সভাপতি আলহাজ্জ মো: লুৎফুল কবির এর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মো: আবুল হাছানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয় পবিত্র কোরাআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে, পরে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত আর বিএনপির দলীয় সংগীতের মাধ্যমে।



অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাব মনিরুল হক জর্জ বলেন মেজর জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বরে সিপাহী জনতা আর সেনাবাহিনীর এক পাল্টা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতার কেন্দ্রে আসেন তাই দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনে ষড়যন্ত্রকারীদের লন্ডভন্ড হয়ে যায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী ষড়যন্ত্র আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসন সিপাহী-জনতার মিলিত বিপ্লবে।



 সভাপতি আলহাজ্জ মো: লুৎফুল কবির তার বক্তব্যে বলেন জাতি আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে, মানুষের মাঝে হতাশা আর নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। ১৯৭৫ সালে এইদিনে সিপাহী আর জনতা এই দুইয়ে আর কোন উপায় না পেয়ে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান ও স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতে  অর্পন করে এই স্বাধীন দেশের দায়িত্ব । সভাপতি তার  বক্তব্যে আরো বলেন প্রতিটি সরকার সরকারী ছুটিসহ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সহিত পালন করে আসছে কিন্তু ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দিবসটি পালন করা থেকে বিরত রাখে আর বাতিল করে সরকারি ছুটি।



 



আনুষ্ঠানে বক্তব্য আরো  রাখেন, বিএনপি অষ্ট্রেলিয়ার সহসভাপতি রেজাউল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ফজলুল হক শফিক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন উজ্জল ,সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সেলিম খান মুকুল , যুবদলের সিনিয়র সভাপতি সেলিম নকিয়াত  বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মুনা মুস্তফা ,অষ্ট্রেলিয়া সাইবার দলের সভাপতি নওশাদ আলী।





অনুষ্ঠানে বিএনপির  নেতারা অষ্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগের নেতাদের শহিদ জিয়াকে নিয়ে কটুক্তি করার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে নেয়ার পরামর্শ দেন। তারা বলেন জাতির চরম বিপদের সময় যে নেতা স্বেচ্চায় হানাদারদের নিকট নিজেকে সপর্দ করনে,সে হল চরম কাপুরুষ বিশ্বাসঘাতক। আর সেদিন বীর সেনানী জিয়া জাতীকে আশার আলো দেখিয়ে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। এবং আবারো ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর দেশের মানুষের মুক্তির দূত হয়ে জাতিকে রক্ষা করেছিলেন। বিএনপি নেতারা তথাকথিতি আওয়ামী নেতাদের চেলেঞ্জ্ দিয়ে বলেন আসুন কোথায় বসবেন, বিতর্ক করতে চাইলে চেলেঞ্জ গ্রহন করুন। অন্যথায় আবলতাবল বলা থেকে বিরত থাকতে আহবান জানান।





তারা আরো বলেন,  ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি উচ্চাভিলাষী দল সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে বন্দি করে এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটালে শ্বাসরুদ্ধকর অনিশ্চিত এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। ৬ নভেম্বর মধ্যরাতে ঘটে সিপাহী-জনতার ঐক্যবদ্ধ এক বিপ্লব, যা ইতিহাসে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে স্থান লাভ করেছে। ওইদিন রাজধানী ঢাকা ছিল আনন্দের নগরী, পথে পথে সিপাহী-জনতা আলিঙ্গন করেছে একে অপরকে। সেজন্য এই দিনটি জাতির কাছে একটি বিশেষ স্মরণীয় দিন হিসাবে থাকবে। বক্তারা আরো বলেন, দেশে গণতন্র আজ হত্যা করা হয়েছে, হরণ করা হয়েছে মানুষের বাক্ স্বাধীনতা। কোথাও মানুষের নিরাপদ নেই, হতাশা বিরাজ করছে মানুষের মনে, তাদের ভবিষৎ আন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে, ইতিহাসকে করা হচ্ছে বিকৃত, মেধাকে করা হচ্ছে না মূল্যায়ন, সবজায়গা করা হচ্ছে দলীয়করণ, পুলিশ-বাহিনীকে তৈরি করা হয়েছে দলীয়লোক নিয়োগে, খুন আর গুম এখন স্বাভাবিক ঘটনা, ১২৩৬ জনের বেশী গুম, আর এক লাখেরও বেশী মানুষ মিথ্যা মামলা বাড়ীছাড়া আর তাদের পরিবার মানবতার জীবন যাপন ইত্যাদি।



অনুষ্ঠানে উপস্থিত কিশোরগন্জ জেলা বিএনপির সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক জনাব মাজহারুল ইসলামকে অস্ট্রেলিয়া  বিএনপির পক্ষ থেকে সন্মান প্রদান করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপস্হাপনা করেন অষ্ট্রেলিয়া বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মুনা মুস্তাফা । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলা মিউজিক এন্ড ড্যাস একাডেমীর শিশুরা । এছাড়াও সংগীত পরিবেশন করেন নূরই মোহাম্মদ সজীব , মিঠু ও ইভানা খালেদ , নামিদ ফারহান ও আয়েশা ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top