ঈদের প্রধান জামাতে নারীদের উপস্থিত বেড়েছে
প্রকাশিত:
২২ আগস্ট ২০১৮ ০৮:৫৬
আপডেট:
৪ আগস্ট ২০২৫ ০৮:০৪

রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাতে নারীদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়ার মত। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জাতীয় ঈদগাহে এসে নামাজ পড়তে পেরে উচ্ছ্বসিত নারীরাও।
এবার জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহায় প্রধান জামাতে ১ লাখ পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি পাঁচ হাজার নারী মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
এছাড়া, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদেও ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন নারীরা।
ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন অংশগ্রহণ করে।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের লাখো মানুষ নামাজ আদায় করেন।
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ এহ্সানুল হক।
শিক্ষা ভবনের উল্টো পাশে ঈদগাহে নারীদের জন্য আলাদা গেট রাখা হয়। ঈদগাহে জায়নামাজ ছাড়া অন্যকিছু না আনার নির্দেশনা থাকায় অনেকে আবার ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। ব্যাগ রেখে ঈদগাহে প্রবেশ করে তারা। প্রায় হাজার খানিক নারী নামাজে অংশ নেন। নামাজে শেষে অনেককে সেলফি তুলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
মিরপুর শেওড়াপাড়া থেকে মায়ের সাথে তিন বছর বয়সী তন্নি নামাজ পড়তে এসেছিল। সে এই প্রতিবেদককে বলে, ‘আম্মুর সাথে নামাজ পড়তে এসেছি। খুব ভালো লাগছে।’
কাঁটাবন থেকে শাশুড়িকে নিয়ে নামাজ পড়তে এসেছিলেন নাজনিন আক্তার। তিনি পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘চমৎকার পরিবেশ ছিল। সাধারণত নারীদের সব জায়গায় ঈদের নামাজের ব্যবস্থা নেই। এখানে পরিবেশটা থাকায় বিগত বছরেও এসেছিলাম।’
পান্থপথ থেকে সামিয়া আর আঁখি নামের দুই বোন ঈদের নামজ পড়তে এসেছিলেন। কলেজ পড়ুয়া আঁখি বলেন, ‘বাবার সাথে নামাজ পড়তে এসেছি। বাবা পুরুষদের সাথে নামাজ পড়েছে। আমরা দুইবোন এখানে নারীদের আলাদা জায়গায় নামাজ পড়লাম। অনেক নারী একসাথে নামাজ আদায় করছেন, এটা খুব ভালো লেগেছে।’
তার বড় বোন সামিয়া বলেন, ‘এই ঈদ আমাদের শিক্ষা দেয়, সকলের অহঙ্কার ভুলিন্ঠিত হোক। আত্মত্যাগের মহিমায় সকলে উজ্জীবিত হয়ে, একে অপরের সুখে-দুখে পাশে দাঁড়ানো।’
স্বামীর সাথে নামাজ পড়তে এসেছিলেন রওনক নামের এক নারী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলে, ‘ছোট বেলায় গ্রামে বাবার সাথে ঈদগাহে যেতাম। বাহিরে দাঁড়িয়ে বাবার নামাজ পড়া দেখতাম, আর খুব আনন্দ করতাম। আর এখন স্বামীর সাথে নামাজ পড়তে এসেছি, সত্যিই খুব ভালো লাগছে।’
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: