শপথ নেবেন গণফোরামের এমপিরা, ইঙ্গিত কামালের


প্রকাশিত:
৫ জানুয়ারী ২০১৯ ২৩:৩৫

আপডেট:
৫ আগস্ট ২০২৫ ০৩:২৮

শপথ নেবেন গণফোরামের এমপিরা, ইঙ্গিত কামালের

সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্ট টিকে থাকার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।



তিনি বলেছেন, আমাদের দলের নির্বাচিত দুই সংসদ সদস্যকে আমরা দলীয় ফোরামে অভিনন্দন জানিয়েছি। তারা যেহেতু এতো খারাপ নির্বাচনী পরিবেশের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ফলে তাদের শপথের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের দিকেই আমরা যেতে চাই।



শনিবার রাজধানীর শিশু পরিষদ মিলনায়তনে দিনব্যাপি কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিতসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।



গণফোরাম সভাপতি বলেন, জনগণ দেশের মালিক, ৩০ ডিসেম্বরে তারা তাদের ভোটাধিকার যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারেনি। তাদেরকে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এবারও দেশে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি।



আরেক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, আমরা এবারের নির্বাচনে সবগুলো বিষয় ভালভাবে দেখবো। যদি গুরুতর কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যায় তাহলে তার ব্যবস্থা চাইতে আদালতে যাব এবং অবশ্যই আমরা আইনের আশ্রয় নেব।



বিএনপি থেকে নির্বাচিতরা যদি শপথ না নেয়, আর আপনাদের দুইজন শপথ নিলে বিষয়টি সাংঘর্ষিক হয়ে গেল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, সেটা আলোচনার বিষয় আছে। আমরা মনে করি তারা দুইজনওতো সংসদে সমালোচনা করে ভাল ভূমিকা রাখতে পারে।



আগামীতে আপনাদের যৌথ কী ধরনের কর্মসূচী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, আগামীতে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জোর দাবী জানাচ্ছি। তারা যদি সেটা না করে তাহলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।



ঐক্যফ্রন্ট কি জামায়াতকে নিয়েই থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, জামায়াত ঐক্যফ্রন্টে নেই তবে ২০ দলে আছে।



আপনাদের কর্মীরা ফজরের পর ভোট কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার কথা থাকলেও তা করেনি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ভোট কেন্দ্রে আমাদের লোকদের যেতে দেওয়া হয়নি। সেখানে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে। আমাদের এজেন্টরা গেলে তাদের পুলিশ, র্যা ব ও বিজিবির সহযোগিতায় বের করে দেওয়া হয়েছে।



এসময় তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘কামতো রাতেই সেরে ফেলা হয়েছে, ফজরে গিয়ে কী হবে?’



এসময় গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, নোয়াখালীতে ভোটের দিনে শুধুমাত্র গৃহবধু পারুলই ধর্ষিত হয়নি বরং দেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনও ধর্ষিত হয়েছে। অবিলম্বে ফের নির্বাচন না দিলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র উদ্ধারের কাজ করা হবে।



মন্টু বলেন, গায়েবি মামলায় গ্রেফতার না করতে আদালতের নির্দেশ থাকলেও সরকার আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছে। আদালতে হাজিরা দিতে গেলে জামিন বাতিল করে হাজতে পাঠানো হচ্ছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top