হুমায়ূন-শাওনের অসম প্রেম যেভাবে হয়েছিলো
প্রকাশিত:
২০ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৪৫
আপডেট:
২ এপ্রিল ২০২০ ২২:২৮
থাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ পঞ্চাশ বছর বয়সে প্রেমে পড়েছিলেন এক কিশোরীর। সেই কিশোরীই আজকের পরিচালক-অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। আপাত দৃষ্টিতে এই অসম সম্পর্ক নিযে আলোচনার কমতি নেই। কীভাবে হযেছিলো তাদের প্রেম, কি বলেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ?
মেহের আফরোজ শাওন তখন কিশোরী। দশম শ্রেণিতে পড়েন। বলতে গেলে প্রজাপতি-সময়। আর ঠিক এমন সময়েই জীবনের সবচেয়ে বড় প্রশ্নটির মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।
প্রশ্নটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা লেখক, পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই হুমায়ূন আহমেদ-এর। শাওনকে হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন, ‘গুহাচিত্র যারা আঁকতেন, তাদেরও কাউকে লাগত ওই অন্ধকারে প্রদীপটা ধরে রাখার জন্য। যাতে সেই চিত্রকর নিজের কাজটা করতে পারেন। তুমি কি আমার জন্য সেই আলোটা ধরবে?’
এই প্রশ্নের উত্তরে কিশোরী শাওন কি বলেছিলো জানেন? আসলে তিনি নাকি মর্মোদ্ধার করতে পারেননি। ঠিক তার চার-পাঁচ দিন পর হুমায়ুন আহমেদ আবার বললেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যদি একা চলে যাই, সব ছেড়ে? তুমি থাকবে?
এবার আর সময় নেননি শাওন। তিনি ঝটপট বলে দিয়েছেন, ‘থাকব। সবসময় থাকব।’ ‘মাঝে মাঝে সিগারেটের রাংতায় হাতচিঠি দিতেন। একবার লিখে দিয়েছিলেন সুনীলের লাইন— ‘ভ্রু পল্লবে ডাক দিলে দেখা হবে চন্দনের বনে।’
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান শাওন। তিনি আরো বলেন, ‘বিয়ের আগে আমি তো কোনও দামি উপহার নিতাম না। ওনার পাথরপ্রীতি ছিল খুব। একটা লাল গোমেদ দিয়েছিলেন, খুবই দামী। আমি নিইনি। তারপর যেটা দিলেন তা ওনার পক্ষেই সম্ভব।
রেললাইন থেকে তুলে আনা একটা বড় পাথরে কলম দিয়ে কয়েকটা ক্রস চিহ্ন করে দিয়ে বলেছিলেন, এটা নিতে নিশ্চয়ই কোনও বাধা নেই!
আমি সেই পাথরটার প্রেমে পড়লাম যেন। সব সময় সঙ্গে রেখে দিতাম, কলেজে নিয়ে যেতাম! মা তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন আমার আচরণে। ওনার (হুমায়ূন আহমেদ) এর একটা গল্প রয়েছে পাথর নামে। সেই গল্পে এই ঘটনার ছায়া রয়েছে।’
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: