সিডনী সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১

জ্বিনবউ : লিপি নাসরিন


প্রকাশিত:
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:০৪

আপডেট:
৬ মে ২০২৪ ০৭:৪১

 

হঠাৎ টিপ টিপ করে বৃষ্টি শুরু হলো। আফতাব আর ইসহাক যাচ্ছে  বিলের ওপারে খালে মাছ ধরতে। অগভীর শীর্ণকায় খালটা শুক্লপক্ষের দ্বাদশীতে সাদা সুতোর মতো পড়েছিল বিল পেরিয়ে জঙ্গলের গা ঘেঁষে। ওখানে গাছ বলতে কেওড়া আর বাইন বেশি। আছে কিছু গোলপাতা আর গেওয়া। আফতাব আর ইসহাক সম্পর্কে চাচাতো ভাই। আফতাব বড় কিন্তু ইসহাক তাকে ভাই না ডেকে নামেই সম্বোধন করে। দুজন পাতার বিড়ি ফুঁকতে ফুঁকতে চলছে। এক জনের হাতে প্যাঁচানো জাল অন্যজন ফাঁস  গিরায় বাঁধা জালের দড়ি ধরে ঝুলাতে ঝুলাতে হেঁটে চলেছে খালের দিকে। হঠাৎ বৃষ্টির জন্য ওরা কী করবে বুঝতে না পেরে বিল ছেড়ে রাস্তায় উঠলো। খানিকটা রাস্তা পেরিয়ে বেশ দূরে একটা মাটির ঘর। তখনও ইটের পাকা বাড়ি খুব একটা দেখা যেতো না। নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্তের বাড়ি ছিলো মাটির। বৃষ্টির ফোঁটা  একটু বেগ নিতেই ওরা দৌড়ে ঐ বাড়ির বারান্দায় গিয়ে উঠলো। বেশি রাত হয় নি কিন্তু বাড়ির লোকজন ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। ঘরের দরজার মাথার দিকের সরু এক ফালি জায়গা দিয়ে হেরিকেনের ক্ষীণ আলো ঘরটাকে বেশ রহস্যময় করে তুলেছে। আফতাব জানে এ বাড়িটি কার হয়তো ইসহাকও জানে। দুভাই বারান্দায় উঠে মাটিতেই বসে থাকে। ঘরের ভিতর থেকে শব্দ আসে, বাইরে কেডা?

আফতাব উত্তর দেয়, আমি আর ইসহাক। মাছ ধরতি যাতিছি। পানি এলো বলে এখানে আলাম। ঘরের ভিতর থেকে আর কোন সাড়া আসে না। ইসহাক বাড়ির চারধারে তিন ব্যাটারির টর্চ জ্বেলে দেখে নেয়। রাস্তার কাছেই বাড়ি। সাইকেল চালিয়ে এ পথে হাটে যায় কিন্তু কোনদিন ভালো করে দেখে নি।

বৃষ্টি থামতে শুরু করলে ওরা দুজন বারান্দা থেকে নেমে আবার হাঁটতে থাকে। মেঘের ফাঁক গলে গলে জ্যোৎস্নার ঝলক আসতে থাকে। বিল পেরিয়ে ওরা খালের পাড়ে এসে পড়ে। আফতাব লুঙ্গি কাছা মেরে হাঁটু সমান পানিতে গিয়ে জাল ছুঁড়ে দেয়। খালের মাঝ বরাবর 'ঝপাৎ' করে শব্দ করে জাল পানিতে পড়লে মেঘ ভাঙ্গা জ্যোৎস্না থরথর করে তরঙ্গ তুলে কিনারে মিশে যায়। ইসহাক বিড়ি নিভিয়ে আর একটু সরে গিয়ে জাল ফেলে। আফতাব জাল টেনে তুলে কিনারে আসে। টর্চ জ্বেলে একটু উঁচুতে কাত করে রেখে দেখার চেষ্টা করে কোন মাছ পড়লো না কি। ইসহাক চেঁচিয়ে ওঠে, কী মাছ পড়লো? আফতাব পেটে ডিমভরা চামরি চিংড়ি বেছে নিতে নিতে বলে, মাছ আর কই...

ইসহাক ততক্ষণে দুবার জাল ফেলে বেশ বড় সড় কটা পুঁটি মাছ তুলেছে কোমরে বেঁধে রাখা খারায়। আফতাব এবার টর্চ ফেলে রাখে খালের পানির দিকে। বেশ কয়েকবার জাল ফেলে অনেকগুলো খরখুল্লো মাছ তুলে আনে। ওরা দুজন মাছ ধরতে ধরতে বেশ কিছু দূর  চলে যায়- খুব বেশি  না হলেও একেবারে কমও না। ঘণ্টা দুয়েক পর ওরা খাল থেকে উঠে পড়ে। আকাশে তখন মেঘ নেই। বৃষ্টি যেটুকু হয়েছিল তাতেই বিলের মাটি নরম কাদায় পরিণত হয়েছে। খাল পাড়ে উঠে আফতাব মাথায় বাঁধা  গামছা খুলে পা মুছে নিয়ে লুঙ্গির কাছা খুলে ফেলে। ইসহাক ওভাবেই খারা কোমরে বেঁধে জাল হাতে নিয়ে বিল ধরে হাঁটতে লাগলো। বিলের একদিকের একটা উঁচু ভিটায় চৌধুরীদের বেশ কয়েক বিঘা জমিতে একটা বড় পুকুর কাটা। ভিটের চারিধারে  তালগাছ লাগানো। হলুদ লাগানো আছে বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে।  পুকুরের চারপাশ ঘিরে মানকচুর চাষ। পুবের পাশটায় আম গাছ ভরা।

এই ভিটে বরাবর আসতেই হঠাৎ ওরা মৃদু শব্দে 'ঝমঝম' আওয়াজ শুনতে পায়। ধীরে ধীরে আওয়াজ বাড়ার সাথে সাথে উজ্জ্বল আলোয় উদ্ভাসিত হতে থাকে বিল। ওরা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না এই ঝমঝম আওয়াজ আর তীক্ষ্ম আলোর উৎস কী। ইসহাক একটু ভয় পেয়ে বলে, কের শব্দ, আর এতো আলোই বা কোনতে  আসে? ওরা দুজন আকাশের দিকে তাকায়। হঠাৎ দেখে বিলের পুব কোণার  আকাশ থেকে একটা বিরাট চার চাকার রথ উড়ে আসতে দেখে দুজন ভয়ে চৌধুরীদের  উঁচু ভিটাতে প্রায় লাফিয়ে উঠে তাল গাছের নিচে দাঁড়ায়। ভয়ে ইসহাকের রক্ত হিম হয়ে আসে। আফতাব বড় বড় চোখে অপার বিস্ময়ে তাকিয়ে থেকে বলে,  বসে পড়, বসে পড়, দাঁড়ায় থাকিস নে। আফতাব নিজেও বসে পড়ে তালগাছের আড়াল থেকে দেখতে থাকে। ইসহাক আফতাবের গায়ের সাথে একেবারে যেন লেপ্টে থাকে। দুজনেই ভাবছে আজ আর  রক্ষা নেই । উড়তে উড়তে  রথ ঠিক ওদের মাথার উপর চলে এলো। ইসহাক ততক্ষণে ভয়ে তালগাছ তলায় শুয়ে পড়েছে আর আফতাব পিঠ মাটির সমান্তরাল করে হাঁটু গেড়ে বসে ঘাড় উঁচু করে আকাশে দিকে চেয়ে আছে।আমার খুব ভয় লাগতেছে, ইসহাক ফিসফিস করে ওঠে।
চুপ! কথা কইস নে, আফতাব আকাশের দিকে তাকিয়েই বলে। রথের ভেতর এক মণিমাণিক্য খচিত সিংহাসনে বসে আছে এক উজ্জ্বল অনিন্দ্যকান্তি রাজা। তাকে ঘিরে সভাসদ। রাজার মুখে মৃদু হাসি। 'ঝমঝম', 'ঝমঝম' বাজনা বাজছে। রাজার সামনে বিচিত্র ফলাহার। রাজার পাশেই বসে আছে উজ্জ্বল দীপ্তিময়তায় ভরা এক নারী। তার অঙ্গ ঘিরে বাজুবন্দ আর কঙ্কনের কিরণপ্রভা।আফতাব আর ইসহাক ভয় কাটিয়ে বিস্ময়ে অভিভূত। ইসহাক ততক্ষণে ওঠে দাঁড়িয়ে অপলক তাকিয়ে আছে ওদের অতিক্রম করে যাওয়া সেই অনৈসর্গিক বাহনের দিকে।
ঝম ঝম ঝম.....
ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায় আলোকপ্রভা। রুপালি চাঁদ বিলজুড়ে খেলে বেড়াচ্ছে নীলাকাশের বুক চিরে। আফতাব আর ইসহাকের ঘোর কাটতে বেশ কিছুক্ষণ লাগে।
ইসহাক এইডা কী দেখলাম আমরা?
এইডা মনে হয় জ্বিনের বাদশার রথ। বাবারে বাবা! কী রহস্যময় জিনিস আমরা দেখলাম আফতাব। নিজের কাছে বিশ্বাস হচ্ছে না।
কী কতিছিস? জ্বিনের বাদশার রথ!! এই আমরা কি স্বপ্ন দেখতিছি? ইসহাক আফতাবের গায়ে জোরে চিমটি দিলে ও 'উহ' শব্দ করে ওঠে।
তুই বেথা পাইলি?
পালাম তো?
তাইলে এটা সত্যি। তোর সেই কথা মনে আছে আফতাব?
কোন কথা? বলতেই আফতাবের মনে পড়ে যায় সেদিনের সেই কথা।
ইসহাক দৌড় মার, বলতেই দুজন দৌড়ে বিল পার হয়ে রাস্তায় উঠলো।
রাত তখন প্রায় অর্ধেক শেষ হয়ে গেছে। দুজনে বাড়ি পৌঁছে সিদ্ধান্ত নেয়  আজকের এই ঘটনা তারা কাউকে বলবে না। ওরা মাছ নিয়ে ফিরলে আফতাবের  বউ ঘুমের জড়তা কাটিয়ে ঘর থেকে বাইরে আসে। পাশাপাশি ঘর ওদের। ইসহাকের বউয়ের দু বছরের মেয়েটা কেঁদে ওঠে। এখন উঠতে পারবে না, ঘর থেকে সে জানিয়ে দিলে ইসহাক মাছগুলো বড় একটা বালতির মধ্যে পানিতে জাবিয়ে রেখে পুকুরে গোসলের জন্য এগিয়ে গিয়ে ফিরে এসে আফতাবকে ডাকে।
চান করতি যাবি নে?
না এখন আর পুকুরে যাবো না। আয় টিউকলে চান করি। আফতাব রান্নাঘর থেকে বের হতে হতে বলে।
কলের পানিতে গা ধুলি গা কেমন চটচট করে।
তা করুক। এখন পুকুরে যাবো না।
ওরা স্নান করে যে যার ঘরে গেলো কিন্তু দুজনের কেউই সে রাতে ঘুমাতে পারলো না। চোখ বন্ধ করতেই সেই অনৈসর্গিক সৌন্দর্য আর অত্যুজ্জ্বল আলো তাদের চোখকে ঘিরে ধরেছিল। সকাল হতেই দুজনে সেই কথা আড়ালে বলাবলি করলো।
আফতাব, আমারগা বোধহয় ও বাড়িতে যাওয়া আর ঠিক হবে না।
আরে না কিচ্ছু হবে না। চল না গে দেখি। কতো মানুষ যাবে।
ইসহাকের সাহসে কুলাচ্ছিল না গ্রামের শেষ মাথায় খালেকের জ্বিনের আছর করা বউয়ের জ্বিন তাড়ানো দেখতে যেতে। তবু আফতাব আছে সাথে সেই ভরসায় সে মনের ভয়কে মনেই চাপা দিলো ইটের নিচে দুর্বা ঘাসের মতো।
সূর্য পড়ে আসতেই খালেকের বাড়িতে গ্রামের নারী পুরুষ জমা হতে থাকে। নারীরা উঠোনের কোণে লাগানো আম গাছের নীচে লম্বা ঘোমটা টেনে দাঁড়িয়ে রইলো, সেখানে যাদের জায়গা হলো না তারা বাড়ির ভিতরে ঢোকার মৃত্তিকা প্রাচীরের ছোট গেটটার আড়ালে অবস্থান নিলো। উঠোনে ঘরের বারান্দার কাছে খালেকের বউকে এনে বসানো হলো একটা ছোট টুলে। কবিরাজ আগে থেকেই বসে আছে পাতানো একটা পুরু চটের উপর। সামনে একটা কাসার  বদনা। সবাই ফিসফিস করে বলছে এই বদনা মুখে নিয়েই নাকি কোণের ঐ জামরুল গাছটার ডাল ভেঙে খালেকের বউয়ের সাথে যে জ্বিনের বাস সে পালাবে। কবিরাজ তেল আর পানিতে দোয়া দরুদ পড়ে ফু দিচ্ছে আর বলছে ,এই তুই ওকে জ্বালাচ্ছিস কেন? বাচ্চার মা, ওকে ছেড়ে চলি যা নাহলি তোরে এমন সাজা দেবো যে বাপ বাপ করতি করতি পালাবি। খালেকের বউ তেমনি ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। কোন কথাবার্তা কিছুই বলছে না। সবার চোখে মুখে বিপুল উৎসাহ আর কৌতূহল। তারা জ্বিনের বদনা মুখে নিয়ে ডাল ভেঙে চলে যাওয়া দেখবে। আফতাব আর ইসহাক এসেছে বিকেল না হতেই। ভিড়ের মধ্যে ওরা দুজন বসে আছে। হঠাৎ খালেকের বউ ঘোমটা খুলে উঠে দাঁড়ায়। পুরুষদের দিকে তাকিয়ে বাজখাই গলায় বলে, আফতাব, তোর এতো বড় সাহস!! তুই আমাকে ঝেঁটিয়ে বের করতি চাস। আফতাব প্রথমে ঠিক বুঝে উঠতে পারে নি। আর সবার মতো আফতাবও চারিদিকে তাকিয়ে আফতাবকেই খুঁজছে।
ইসহাকের কনুইয়ের ধাক্কায় আফতাব  সম্বিত ফিরে পায়। আফতাব বুঝতে পেরেই ভয়ে একেবারে আধমরা হয়ে যায়।
তুই আমারে ঝাঁটাইয়া বের করতে চাস, তা তোরে আমি দেখাইয়া দিতাম কিন্তু তুই যাঁর ভক্ত আমিও তাঁর ভক্ত তাই বেঁচে গেলি। তুই একটা আস্ত শয়তানের শয়তান আর ঐ ইসহাক তোর দোসর। আমাগের বাদশার কাছে বিচার দিছি। কাইল রাতে একটু দেখাইছিলো তোরে, বলে খালেকের বউ হি হি হি...করে হেসে ওঠে। উঠোন ভরা মানুষের মধ্যে তখন যুগপৎ ভয় আর সন্দেহ জেকে বসেছে। আফতাব মনে মনে আল্লাহ্কে ডাকছে, ইয়া মাবুদ রক্ষা করো, আর যেন কিছু না বলে। এখন যদি এই ভরা মানুষের মাঝে সব ফাঁস কইরা দেয় তাহলে মান সম্মান আর কিছু থাকবেন না। ইসহাকের অবস্থা আরো করুণ। মনে মনে সে আফতাবকে গালাগালি  করছে তাকে অন্যায় কাজ প্ররোচিত করার জন্য। খালেকের বউ তখনো থেমে নেই।
এই ইসহাক, মাছ চোর। তুই সগলের  পুকুরে মাছ চুরি কইরা বলিস খালের মাছ। কাল রাতে তো ঐ রাস্তার পাশের বাড়িতে চুরি করতি গেলি।
চোরের বাচ্চা চোর। ইসহাক মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সবার নজর এখন খালেকের বউ আর ওদের দুজনের মধ্যে আসা যাওয়া করছে। ফিসফিসানি থেকে মৃদু গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
আফতাব লুইচ্চা তুই না এক গ্রামে গিয়া  এক জনের  মাইয়ার লগে লটরপটর করিলি। হি হি হি... তারপর না ম্যালা টাকা গচ্চা দিয়া পার পাইলি। আর কুলসুমের সাথে  কী করিলি সব বলে দিবান। শালার লুইচ্চা!! আমারে মারতে আসিস এতো সাহস তোর?
আফতাব মরমে মরে যাচ্ছে। ওদের দুজনের কানের মধ্যে দিয়ে যেন গরম বাতাস বের হয়ে যাচ্ছে। কবিরাজ এই কথা আর বাড়তে না দিয়ে ততক্ষণে দোয়া পড়া পানি খালেকের বউয়ের গায়ে জোরে জোরে ছিঁটাতে শুরু করেছে আর বলছে, এইসব প্যাঁচাল্লা কথা থুয়ে তুই যাবি কিনা বল? খালেককে বললো, ও মিয়া, তোমার বউয়ের মাথায় আর মুখে এই তেল ভালো কইরে মেখে দেও। খালেক তেল নিয়ে কাছে আসতেই ওর বউ কাঁদতে কাঁদতে বললো,  খাদিজার বাপ আমি তোমারে খুব ভালোবাসি। ঐ তেল আমার গায়ে দিও না। খালেক বউয়ের কথা না শুনে জোর করে ওর মাথায় আর মুখে ঘষে ঘষে  তেল লাগিয়ে দিলো। কবিরাজ খালেককে বললো, এইবার তুমি সরে যাও, আমার কাজ আমারে করতি দাও।

এই শয়তানি, ঐ পিতলের বদনা দাঁতে নিয়ে এখান থেকে দূর হবি নাকি আগুনের ছ্যাকা দেবো তোর গায়? খালেকের বউ তখনো চুপ করে দাঁড়িয়ে। তার দিঘল কালো চুল পিঠের উপর শুয়ে বিকেলের বাতাসে দোল খাচ্ছে।  ওর চুপ হয়ে থাকা দেখে কবিরাজ জ্বলন্ত  গোবর কাঠির শলাকা ওর দিকে এগিয়ে আনতেই খালেকের বউ সরে গিয়ে পিতলের বদনা দুহাতে নিয়ে  দাঁত দিয়ে ধরে,তারপর এগিয়ে গিয়ে বদনাটা কবিরাজের গায়ে উপর ফেলে দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মূর্ছা গেলো।

 

লিপি নাসরিন

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top