সিডনী সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১

ঢিবির পাশে মানুষটি : লিপি নাসরিন 


প্রকাশিত:
১৪ এপ্রিল ২০২১ ২২:১৭

আপডেট:
১৪ এপ্রিল ২০২১ ২২:১৭

ছবিঃ : লিপি নাসরিন 

 

কুয়াশা ঘন থেকে ঘন হচ্ছে। ঝির ঝির তুষারের মতো কুয়াশা ঝরে পড়ছে  দুর্বাঘাসে, কচি ধানের মাথায়, ভাটফুলের ক্ষুদ্র গোলাপি আভায়। বিলের মাঝখান দিয়ে কালো পথটা পড়ে আছে সটান মৃত সাপের মতো। মাঝখান দিয়ে একটু বাঁক নিয়ে আস্তে করে খালের উপর হঠাৎ মিষ্টি করে হাসি দেওয়া ব্রিজটার সাথে মিশে গেছে। এ রাস্তায় যানবাহন বলতে দুচারখানা ইঞ্জিন ভ্যান আর দুচারজন মানুষের মটর বাইক। মানুষ পায়ে হেঁটে এ গ্রাম ও গ্রাম করে। রাস্তার দুপাশে বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত জুড়ে সবুজ চোখ মেলে আছে সুদূরের মিলনাকাঙ্ক্ষায়। পাশের জলাশয়ের পানি শুকিয়ে ফাটা মাটি যেন হা করে গিলে নেবে আকাশের উদারতা। পায়ের পাতা ডোবানো পানিতে কুঁজবক চরে বেড়াচ্ছে। কঞ্চির ডগায় বসে আছে এক উজ্জ্বল মাছরাঙা, চোখে যার জলে ভাসা মাছের ছায়া। প্রায় সময় নির্জন এই রাস্তা গ্রামের ভেতর ঢুকে গিয়ে গলাগলি করে রয়েছে বড় রাস্তার সাথে। খুব ভোরে শূন্যতা ওকে ঘিরে রাখে ঘুমের মতো করে। মানুষের চলাচল থাকে না বললেই চলে। ধান গাছ হাসিতে লুটিয়ে পড়ে গায়ে গায়ে। বক সাবধানে পা ফেলে জলের সাথে কথা কয়।রাতের নক্ষত্রের আলো ঝরা জলে বাতাস কেঁপে ওঠে। সূর্য এখনো এ তল্লাটে এসে পৌঁছায়নি।পাখির কাকলি থেকে থেকে গভীর করে তুলে প্রবলভাবে মাতিয়ে যাচ্ছে নির্জনতাকে।

সকালে মর্নিং ওয়াক করতে এদিকটায় সপ্তাহে পাঁচ দিনই আসেন। প্রকৃতির আলাপ শুনতে শুনতে আনমনে হাঁটেন বেশ খানিকটা পথ। এখনো কোন যানবাহন এই নির্জনতাকে ভেঙেচুরে বের হয়নি। মধ্য ষাট অতিক্রম করে আসা রাহাত সাহেব সবাইকে ছেড়ে এই নির্জনবাস বেছে নিয়েছেন। সবাই বলতে এক ছেলে আর এক মেয়ে। তারা তাদের সংসার আর চাকরি নিয়ে ব্যস্ত। বাবাকে যে এখানে ফেলে রেখেছে তা নয়, তবে রাহাত সাহেব আর ফিরতে চাননি যান্ত্রিকতার মাঝে। এই নির্মলতা তাকে সতেজ করে, শুদ্ধ করে প্রতিদিন। চাকরি জীবনে সুনামের সাথে সৎ থেকে দিন পার করেছেন। অবসর জীবনটাকে তিনি তার এক্সটেনশন লাইফ হিসেবে দেখেন। ছেলে-মেয়ে খোঁজখবর নেয় এতেই তিনি খুশি। কারো বিরক্তির কারণ না হয়ে স্বাধীনভাবে বাকি দিনগুলো কাটানো ইচ্ছা থেকেই গ্রামে আবাস গেড়েছেন । এখানে তার আত্মীয়স্বজন আছেন কিন্তু সবাইকে তিনি বলে দিয়েছেন না বলা পর্যন্ত কেউ যেন তাকে নিয়ে ব্যস্ততা না দেখায়। আর সব জায়গায় ব্যস্ততা নামক শব্দটির আক্রমণ শুরু হয়েছে বেশ আগে থেকেই। শুধু তার মতো কিছু মানুষের এখন অখণ্ড অবসর। অদৃশ্য সুখের হাতছানি দেখা যায় না কিন্তু তন্ত্রীতে তুলছে মধুর ঝঙ্কার। মানুষ শুধু ছুটছে কখনো কাছে, কখনো বা দূরে।

রাহাত সাহেব উঠে ট্রাউজার আর গেঞ্জি পরে নেয়। বন্দর রোড পেরিয়ে  নির্জন রাস্তাটায় গিয়ে নামে। এতো নীরব, এতো শান্ত! তিনি ধানক্ষেতের দিকে তাকিয়ে পুবে মুখ করে দাঁড়িয়ে লম্বা করে শ্বাস টেনে বুকের শূন্যতা ভরে নেয়। আজ বড় বেশি মনে পড়ছে তার স্ত্রী সীমনকে। পাঁচ বছর হতে চললো ও নেই। চেনা মানুষগুলো কোথায় যেন আসবে বলে চলে যায় আর আসে না। বুকটার মধ্যে  কেমন দপ দপ করে। নিজের সাথে নিজে কথা বলে,

তুমি যেখানে গেছো সেখানেও কি পাখির ডাক শোনা যায়? তুমি থাকলে না খুব ভালো হতো সীমন। আমরা দুজন তোমার প্রিয় জায়গাগুলোতে বেড়াতে বের হতাম। তোমাকে আমি নিয়ে যেতে পারিনি তোমার প্রিয় জায়গাগুলোতে। যখন সাধ্য হলো আমার তখন তোমার সাধ ফুরোল।

এই যে দেখো কী সুন্দর ফুল ফুটে আছে, কেউ ওদের পরিচর্যা করে না। ঠিক আমার মতো নিজের পরিচর্যার মধ্যে নিজেই বেড়ে উঠছি আজকাল। বড় হচ্ছি আরো বড় হতে হতে একদিন নুইয়ে পড়বো। হা হা হা....

কে হেসে উঠলো? চমকে ওঠে রাহাত সাহেব! পিছনে তাকায়। কই কেউ তো নেই। তাহলে কি আমিই। ধান ক্ষেতের দিকে তাকায়। গাছের মাথা ছুঁয়ে কুয়াশা যেন ঝাপটা মেরে বেরিয়ে যাচ্ছে ।

গোলাপি আভায় বুনো ফুল দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে। ঠিক সেবার সীমনকে  টাকা জমিয়ে গড়িয়ে দেওয়া দুলজোড়ার মতো। সীমন কী যে খুশি হয়েছিল! এমন কম চাওয়ার মানুষ সে খুব কম দেখেছে। তবে মাঝে মাঝে খুব অভিমান করে থাকতো। কথা বলতো মেপে। তখন রাহাত  সাহেব বুঝতে পারতো কিছু একটা হয়েছে। জোর করে জানতে চাইতো না কোন কিছু। সময় পেরিয়ে সীমন আবার হাসিখুশিতে ভরে উঠতো। খুব মেধাবী ছিলো কিন্তু লেখাপড়াটা শেষ করতে পারেনি। তিনি চেয়েছিলেন সীমন শত অসুবিধার মধ্যে পড়ালেখা চালিয়ে নিক কিন্তু ছেলেটা হুট করে পেটে এলো আর হলো না। পড়ালেখা না করতে পারার কষ্টটা ও চেপে রাখতো। ওর অভিমান ছিলো সেই কারণে।

বেড়ানোর শখ ছিলো ভীষণ। সেই ইচ্ছাটাও সীমনের পূরণ হয়নি।

আজ আমার অফুরন্ত সময়। তোমার প্রিয় জায়গাগুলোতে নিয়ে যেতে পারবো কিন্তু তুমি চলে গেলে, এইসব ভাবতে ভাবতে রাহাত সাহেব হেঁটে চলে। সীমন আমি ভালো আছি। তুমিও নিশ্চয় ...কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে উঠে চোখের পাপড়ি। জলটুকু মিশে যায়।

হ্যাঁ, আপনার স্ত্রী খুব ভালো আছে। আপনি একটুও চিন্তা করবেন না রাহাত  সাহেব।

চমকে উঠে পিছনে তাকায়।

আমাকে আপনি চিনবেন না, লোকটির চোখে মুখে মৃদু হাসির রেখা ঢেউ খেলে যাচ্ছে।

আমি আপনার সাথেই চলি কিন্তু আপনি কোনদিন আমাকে খেয়াল করেন নি।

ও আচ্ছা। একটু যেন কষ্ট অনুভব করছেন রাহাত সাহেব বুকের মধ্যে। এর নির্জনতাই ভালো ছিলো। কোত্থেকে লোকটি এসে হাজির হলো কে জানে । রাহাত সাহেব কোমরে দুহাত রেখে দাঁড়ায় একটু ।

এখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন নাকি এগোবেন? লোকটি বলে।

না না, চলুন সামনে হাঁটি। তো আপনি এই পথে চলেন বুঝি?

হ্যাঁ, চলি যখন প্রয়োজন হয়। লোকটি উত্তর দেয়।

তা বেশ। আপনার সাথে আমার আজই দেখা হলো। এই গ্রামেই আপনার বাড়ি? কথা বলতে ওর হাঁপ লাগে।

আমার কোন নির্দিষ্ট বাড়িঘর নেই। পৃথিবীর যেখানে যখন দরকার সেখানেই আমার ভিটে।

লোকটির কথায় রাহাত সাহেব কেমন বিব্রত বোধ কর। এ কেমন মানুষ  কথায় কথায় প্রহেলিকা ছড়িয়ে দিচ্ছে। লোকটি কি ভাবছে আমি একজন জড় বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ? রাহাত সাহেব ইতস্তত করে একটু জোরে পা চালায়। লোকটি পিছনে পড়ে।

অত জোরে হাঁটবেন না মশাই, আপনি অসুস্থ।

রাহাত সাহেব এবার প্রচণ্ড বিরক্ত। আজ সকালটা তার বৃথা গেলো। কোত্থেকে যে এলো!

লোকটি ততক্ষণে ওর কাছে চলে এসেছে।

শুনুন আমি অসুস্থ না,  আর অসুস্থ মানুষকে কখনো তার অসুস্থতার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে নেই। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

লোকটার সাথে আর কথা বলতে ইচ্ছে করে না ওর। এতক্ষণ ভালো করে দেখেনি। লোকটার পোশাকটা কেমন যেন। আলখাল্লা টাইপের। মাথায় পাগড়ি, পায়ে জুতা নেই। লোকটা কথা না বলে মুখ নিচু করে রাহাত সাহেবের পাশাপাশি হাঁটছে। মাটিতে মৃদু ধপাস ধপাস শব্দ হচ্ছে। হঠাৎ লোকটা মুখ তোলে, রাহাত সাহেবের সাথে চোখাচোখি হয়।

কী ভয়ানক গভীর চোখ যেন সবকিছু গিলে নেবে! মূহুর্তে রাহাত সাহেব চোখ নামিয়ে নিয়ে একটু জোরে হাঁটতে থাকে। লোকটা পিছে আসছে কিনা আর খেয়াল করে না। পথের ধারে একটা খেজুর গাছে কচি সবুজ খেজুরের কাঁদি ঝুলছে। রাহাত সাহেব আবার দাঁড়িয়ে পড়ে।

কতোদিন ভোরবেলা পাকা খেজুর কুড়ানো হয় না! সেই ছোটবেলায় ফজরের নামাজের জন্য উঠে মা ডেকে দিতো পুকুর ধারে খেজুরগাছের তলা থেকে খেজুর কুড়িয়ে আনতে। চোখ ডলতে ডলতে  উঠে খেজুর কুড়িয়ে এনে আবার ঘুমিয়ে পড়তাম। কোথায় আছো মা? মাগো... রাহাত সাহেব কুয়াশায় আকীর্ণ আকাশের দিকে তাকায় ক্ষণিক। পৃথিবীর রহস্যময়তা যেন বেড়ে চলেছে সময় বাড়ার সাথে সাথে। ছোট্ট ব্রিজটায় উঠে রেলিংয়ে হেলান দিয়ে দাঁড়ায়। লোকটা পিছে নেই। যাক বাঁচা গেলো। স্বস্তি পায় মনে।

খালের ওপাশে জলাশয়ে মাছেরা পিঠ উল্টে উঠে আসছে জলের পৃষ্ঠদেশ থেকে বেশ কিছু উপরে। একের পর এক, যেন মেঘ ভেবে ছুঁতে চায় ভোরের আবছা আলোয় কুয়াশার ঘ্রাণ। রাহাত সাহেব ঘন কুয়াশার ভেতর দিয়ে তাকিয়ে কেবল জলের সাথে মাছের মৃদু ছলাৎ শব্দ শুনতে পায়। দুএকজন লোকের আনাগোনা বাড়ছে। একজন বৃদ্ধ হাতের লাঠি দিয়ে মৃদু আঘাত করতে করতে এগিয়ে আসছে। তার খকখক কাশির শব্দ শোনা যায়। বাবার মুখ ভেসে উঠে হঠাৎ। তার বাবাও শীতের দিনে খুব কাশতো, অ্যাজমার সমস্যা ছিলো। হাঁপ উঠলে বাবা সারারাত কষ্ট পেতো। কখনো সারা রাত জেগে বসে কাটাতো। বাবার ঘরে একটা সেগুন  কাঠের নকশা করা সুদৃশ্য হাতলবিশিষ্ট চেয়ার ছিলো। ছোট বেলায়  একরাতে ওর ঘুম ভেঙে গেলে অন্ধকারে পা টিপে টিপে পাশাপাশি ঘরের মাঝের দরজায় গিয়ে দাঁড়ায়। কতো আর বয়স হবে নয় কিংবা দশ। সে সহ ভাই-বোনকে নিয়ে মা আলাদা ঘরে ঘুমাতেন। বাবার খুব কষ্ট হচ্ছে দেখে কাছে গিয়ে বলেছিল, আব্বা খুব কষ্ট হচ্ছে আপনার? হারিকেনের অস্পষ্ট আলোয় বাবা ওর মুখের দিকে তাকিয়ে  শা শা শব্দে শ্বাস টেনে টেনে বলেছিল, ঘুমিয়ে পড়, যাও।

বাবার সেই শ্বাসের ধ্বনি যেন উত্তরের বাতাসে ফিরে আসে। আবার হাঁটতে থাকেন তিনি। কেমন যেন কষ্ট হচ্ছে হাঁটতে, পায়ের পাতা স্থানচ্যুত হচ্ছে। রাস্তার দুপাশে সজনে গাছে সজনে এসেছে সেদিকে তাকিয়ে ধীরে এগিয়ে চলে। গতি কমে আসছে, কষ্টটা ছড়িয়ে পড়ছে আবার ক্ষণিক থেমে যাচ্ছে। পিছনে তাকিয়ে দেখে লোকটা অনতিদূরে। রাহাত সাহেব মুখ ঘুরিয়ে নিতেই লোকটা কাছে চলে আসে।

কী আশ্চর্য লোকটা কাছে আসতেই ওর হাসনার

কথা মনে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তুমুল প্রেম ছিলো ওদের দুজনের। তারপর কী হলো কে জানে। কদিন হাসনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে না। রাহাত হাসনার কোন খবর পায় না। বন্ধু বান্ধব কেউ ওর কোন খবর দিতে পারে  না। হাসনার বাড়ির ঠিকানা সে জানতো কিন্তু বাসায় গিয়ে খোঁজ নেবার মতো সাহস ওর হয়নি। সপ্তাহ বাদে হাসনা এলো ক্যাম্পাসে  কিন্তু এক সপ্তাহ আগের হাসনা আর এই হাসনার মধ্যে কতো তফাৎ। হাসনার বিয়ে হয়ে গেছে এইটুকু পর্যন্ত; আর কিছু জানার প্রয়োজন বোধ করেনি। পরবর্তী সময়ে কোন এক বন্ধু উপযাচক হয়ে জানিয়েছিল হাসনা বরের সাথে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছে। রাহাত শুধু এক চিলতে হাসি দিয়ে ওর প্রসঙ্গে ইতি টেনেছিল।

আজ কেন হাসনার কথা মনে হচ্ছে ওর? কী হয়েছিল হাসনার, কেন হঠাৎ করে বিয়ের পিড়িতে বসেছিল কিছুই জানা হয়নি। আজ কেন তা জানার আগ্রহ বুকের মধ্যে শ্বাস টানছে।

পা যেন আর চলতে চাইছে না, রক্তের চাই জমে যাচ্ছে, হাত বেয়ে নামছে হিমবাহ। পায়ের তলায় রক্ত পোকার মতো কিলবিল করে হাঁটছে। অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে হাসনার মুখ, দুসন্তানের চেহারা। প্রচণ্ড যন্ত্রণা! রাহাত সাহেব পাশেই একটা ঢিবির ঢালুতে বসে পড়ে। কপাল,ভুরু, মুখ বেয়ে দরদর করে জল পড়ছে। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় মুখ থুবড়ে পড়ে গেছেন তিনি।

খুব কষ্ট হচ্ছে আপনার?

অনেক কষ্টে ঘাড় উঁচু করে দেখে সেই লোকটা। যন্ত্রণাদগ্ধ দৃষ্টি ছোট হয়ে আসে।

একটু পর আর কোন যন্ত্রণা থাকবে না। একটু কষ্ট করেন, লোকটা বলে।

প্লিজ আমাকে সাহায্য করুন, ক্ষীণ কণ্ঠ চিরে বেরিয়ে আসে অস্ফুট শব্দ।

লোকটা নিচু হয়ে বসে।

বেলা বাড়ে, ঢিবির পাশে অনেক মানুষের জটলা। কারো কারো কণ্ঠের বিলাপধ্বনি উত্তরে বাতাসে উড়ে দক্ষিণে খবর পৌঁছে দেয়।

রাহাত সাহেব হেঁটে চলেছেন এক অন্ধকারের অদ্ভুত পথ ধরে, নিজেই নিজেকে স্পর্শ করে যেমন একজন পুরুষ একজন নারীকে স্পর্শ করে।

কুয়াশা কেটে যাচ্ছে। সূর্য উঁকি দিচ্ছে ধান ক্ষেতের ওপ্রান্তে।

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top