‘লকডাউনে শিল্পকারখানা খুললে আইনানুগ ব্যবস্থা’
প্রকাশিত:
২৬ জুলাই ২০২১ ২২:৪১
আপডেট:
৯ আগস্ট ২০২৫ ০৮:১১

প্রভাত ফেরী: সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্পকারখানা খোলার প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কঠোর লকডাউনেও অনেকে শিল্পকারখানা চালু রেখেছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেউ খুলে থাকলে তা পর্যবেক্ষণ করছি, কারা খুলছে? যদি খুলে থাকে, প্রমাণ পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ থাকবে। এই সময়ে গার্মেন্ট, শিল্পকারখানা ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি অফিসের কাজ ভার্চুয়ালি হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কঠোর বিধিনিষেধের কোনো বিকল্প নেই। করোনা যেভাবে ছড়িয়ে গেছে, সে বিষয় নিয়ে আজ ক্যাবিনেটে আলোচনা হয়েছে।’
ফরহাদ হোসেন বলেন, রাস্তায় যখন মানুষ নামছে, তখন বলছে আমার চাকরিতে যেতে হচ্ছে। আসলে এটার সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করছি। তারা যে সব নাম বলছে, সেগুলো চেক করার চেষ্টা করছি।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা (করোনা) যে পরিস্থিতিতে ছড়িয়ে গেছে, এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কঠিনভাবেই তো প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। এ ব্রেকটা খুব দরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সংক্রমণ কমানোর জন্য ব্রেক প্রয়োজন। ব্রেকটার জন্য এটাই উপযুক্ত কৌশল, সেটি হচ্ছে বিধিনিষেধ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যেহেতু গার্মেন্টস ও রফতানিমুখী কলকারখানাগুলো বন্ধ রেখেছি, লাখ লাখ শ্রমিক আসা-যাওয়া করতো, সেগুলো কমেছে। এগুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণ আছে, যে কারণে মানুষ বাইরে আসছে। অযৌক্তিক কারণে বের হলে কিন্তু আইনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতাল থেকে শুরু করে জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষ বাধাহীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে।
পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার বিষয়ে কোনো চিন্তাভাবনা এখন পর্যন্ত নেই বলেও জানান তিনি।
বিষয়: কারখানা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: