সিডনী বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৪, ২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


আদানির ১৭৩ মিলিয়ন ডলার শোধ করল বাংলাদেশ


প্রকাশিত:
৯ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৪৬

আপডেট:
৯ নভেম্বর ২০২৪ ১২:২৯

গ্রাফিক্স

প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় কম্পানির আদানি গ্রুপকে বিদ্যুতের বিল বাবদ ১৭৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখা হয়, তারই অংশ হিসেবে এই বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ার কিছু অংশ পরিশোধ করা হলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপ বিদ্যুতের বকেয়া হিসেবে বাংলাদেশের কাছে পাওনা ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নানা কারণে সেই বকেয়া পরিশোধে জটিলতা তৈরি হয়। কিছুদিন আগে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহে সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল।

এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৭৩ মিলিয়ন ডলারের একটি নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) জারি করেছে।

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের তরফ থেকে এটি আদানি পাওয়ারকে দেওয়া তৃতীয় এলসি। বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই এলসি দেওয়া হয়েছে, ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংককে। আগের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল না।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা মোট ১৬০০ মেগাওয়াট।

যার পুরোটাই আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে রপ্তানি করে। এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করে। কম্পানিটির কাছ থেকে ২৫ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকার চুক্তিটি করেছিল। যা ছিল এক অসম চুক্তি। সব সুবিধা দেওয়া হয় আদানিকে।

যা নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আদানির সঙ্গে একপেশে চুক্তি অনুযায়ী, তাদেরকে প্রতি মাসে ৯৫ থেকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশকে।

সমালোচকরা বলেছেন, ভারতের সহায়তায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ আদানির গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুত্ ক্রয়ের এই চুক্তি করা হয়েছিল। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। আর দায় মেটাতে হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণকে।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top