মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ফন্ট উদ্বোধন জাতিসংঘের
 প্রকাশিত: 
 ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৪২
 আপডেট:
 ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৪১
                                প্রভাত ফেরী : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) একটি বাংলা ফন্ট উদ্বোধন করেছে। এ ছাড়া বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে সংস্থাটি তাদের গত বছরের মানব উন্নয়ন রিপোর্টের সারসংক্ষেপ বাংলায় প্রকাশ করেছে। শুক্রবার ঢাকার একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ বাংলা ফন্ট উদ্বোধন করেন। যা সবাই ইউএনডিপির ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবে। সংস্থাটি জানায়, বাংলা বর্ণমালার যুক্তাক্ষর ও মাত্রাসহ অন্য বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে এ ফন্ট তৈরি করা হয়েছে।
ইউএনডিপির ২০১৯ সালের মানব উন্নয়ন রিপোর্টের সারসংক্ষেপ বাংলায় রচনা করেছেন ড. সেলিম জাহান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ প্রতিবেদন তৈরির প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার পর সম্প্রতি অবসরে গেছেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, এ রিপোর্টে একটি তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য আছে। তা হলো, নিম্ন আয়ের ঘরে একটি শিশু জন্মালে তার গড় আয়ু হবে ৫৯ বছর। আর উচ্চ আয়ের ঘরে জন্মালে ওই শিশুর গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়াবে ৭৮ বছর। অর্থাৎ জন্ম থেকেই নিম্ন ও উচ্চ আয়ের মধ্যে বৈষম্য শুরু হয়। বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের পাঁচ থেকে ১০ লাখ কোটি ডলার তহবিল প্রয়োজন হবে। এর একটি অংশ সরকার সরবরাহ করবে। বাকি অংশ বেসরকারি খাত ও উচ্চ আয়ের দেশ এবং উন্নয়ন সংস্থাগুলোর দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, উচ্চ আয়ের দেশগুলো এখন স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশকে নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সহায়তা দিচ্ছে না। এ প্রেক্ষাপটে ইউএনডিপির মতো সংস্থা বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে তিনি জানান।
ইউএনডিপির প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, অন্য অনেক দেশে জাতিসংঘের অর্থ অপচয় বা নষ্ট হয়, কিন্তু বাংলাদেশের পরিমাণ অত্যন্ত কম। এ কারণে ইউএনডিপি বাংলাদেশে একটি সফল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বাংলা ভাষায় মানব উন্নয়ন রিপোর্টের লেখক সেলিম জাহানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সেলিম এখন অবসরে গেছেন। কিন্তু তিনি এখনও একটি সম্পদ।’
ড. সেলিম জাহান বলেন, মানব উন্নয়ন রিপোর্ট প্রথম উদ্বোধন হয় ১৯৯০ সালে। এর পরের বছর এ রিপোর্ট বাংলায় প্রকাশিত হয়, সেটিরও রচয়িতা ছিলাম আমি। বাংলাদেশের জন্য প্রতিবছর সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এটি আমাদের নিজস্ব সম্পদ।
বিষয়:

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: