সিডনী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক নেওয়ার প্রত্যাশা


প্রকাশিত:
২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:৪৮

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪৪

 

প্রভাত ফেরী: আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জনগণ ও অর্থনীতির কল্যাণে উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার প্রত্যাশায় বাংলাদেশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বন্ধুত্বের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে পাঠানো এক বার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ প্রত্যাশার কথা জানান।

বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হতে চাই এবং আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি আমাদের জনগণ ও অর্থনীতির সুবিধার জন্য আমাদের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বার্তায় আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও সে দেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’

১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার তাৎক্ষণিক স্বীকৃতিদানের বিষয়টি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা ও পরবর্তী দশকগুলোয় আর্থসামাজিক উন্নয়নে দেওয়া অব্যাহত সহায়তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, জনগণের ক্ষমতায়ন ও একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে অনেকাংশে সফল হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা একটি সমৃদ্ধ আধুনিক অর্থনীতি, দায়িত্বশীল দেশ, গণতন্ত্র চর্চাকারী, শান্তি গড়ে তোলা ও বজায় রাখতে সচেষ্ট দেশ হিসেবে এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে আমাদের অবস্থান সুসংহত করতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন অর্জনের পথে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বস্ত অংশীদার। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে শান্তি, বহুত্ববাদ ও জনগণের মর্যাদার প্রতি অভিন্ন অঙ্গীকার।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক আদান-প্রদান এবং শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি খাতে সম্পৃক্ততা ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলা, বিনিয়োগ, পরিষেবা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুর মতো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অর্থপূর্ণ অংশীদারি গড়ে তোলার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার অপার সুযোগ রয়েছে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top