সিডনী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


নিখোঁজ অস্ট্রেলীয়র মরদেহ পাওয়া গেলো কুমিরের পেটে


প্রকাশিত:
৭ মে ২০২৩ ২১:২৭

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০৩:৩৬

 

বন্ধুদের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে কুমিরের পেটে যেতে হলো এক অস্ট্রেলীয়কে। তারা দেশটির নর্দার্ন কুইনসল্যান্ডের এক বিচ্ছিন্ন এলাকায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরইমধ্যে কেভিন ডারমোডি নামের একজন হঠাৎ উধাও হয়ে যান। অবশেষে ব্যাপক অনুসন্ধানের পর কুমিরের পেটে তার মরদেহ পাওয়া গেলো। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে জানানো হয়, মূলত নোনাপানির একটি কুমিরই তাকে হত্যা করেছে। মৃতদেহটি যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি। তবে পুলিশ বলেছে যে, এটিকে ৬৫ বছর বয়সী কেভিনের মরদেহ বলেই মনে হচ্ছে। তারা পুরো বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক পরিণতি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

কেভিন ডারমোডি ছিলেন একজন অভিজ্ঞ জেলে এবং কেপ ইয়র্কের সম্প্রদায়ের একজন সুপরিচিত সদস্য। তাকে খুঁজতে ৪.১ মিটার এবং ২.৮ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি কুমিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সোমবার যেখানে তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল সেখান থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার দূরে কুমির দুটোকে পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
এরমধ্যে একটির পেটে মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। যদিও দুটি কুমিরই তাকে খেয়েছে বলে ধারণা করছে বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা।
কেভিনের সঙ্গে থাকা তার বন্ধুরা জানান যে, তাদের বন্ধু হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান। তারা শুধু এবার তার চিৎকার শুনেছিলেন। তারপর পানির ওপরে ঝাপটাঝাপটির শব্দও শোনেন তারা। তারা জানান, আমরা দৌড়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তার কোন চিহ্ন ছিল না।

অস্ট্রেলিয়ার এ অঞ্চলে প্রচুর কুমির রয়েছে। তবে তাদের আক্রমণের ঘটনা বেশ বিরল। ১৯৮৫ সাল থেকে এর রেকর্ড রাখা শুরু হয়। এর আগে মাত্র ১৩ জন কুমিরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। ২০১৭ সালে পোর্ট ডগলাসে নিখোঁজ হওয়া একজন বয়স্ক মহিলা সর্বশেষ কুমিরের হাতে মারা গিয়েছিলেন।

১৯৭৪ সালে কুমির শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর কুইন্সল্যান্ডের কুমিরের সংখ্যা ৫ হাজার থেকে আজ প্রায় ৩০ হাজারে উন্নীত হয়েছে। ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই অঞ্চলে নদীর প্রতি কিলোমিটারে গড়ে ১.৭টি প্রাপ্তবয়স্ক কুমির বাস করে। অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরি (এনটি) প্রায় এক লাখ কুমির নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম বন্য কুমিরের আবাসস্থল।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top