সিডনী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


চীনকে ঠেকাতে ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে অস্ট্রেলিয়া


প্রকাশিত:
৯ মে ২০২৩ ২১:০৮

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০২:৩৫

 

চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কেনার উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন করবে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় সতর্ক করে বলা হয়েছে, এই ‘ক্ষেপণাস্ত্রের যুগে’ অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার মাধ্যমে আর সুরক্ষিত থাকতে পারবে না।

১১০ পৃষ্ঠার গবেষণা প্রতিবেদনটির নাম ‘দ্য ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজিক রিভিউ (ডিএসআর)’। তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের অবস্থান নিয়ে ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেল।

এই প্রতিবেদনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা নীতির সবচেয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অস্ট্রেলীয় সরকার প্রতিরক্ষা খাতে এক হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে চীনা নৌবাহিনী। আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে এর বেশ কিছু অংশকে নিজের অঞ্চল বলে দাবি করেছে চীন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বড় ও উচ্চভিলাষী সামরিক বিকাশ হয়েছে চীনের। এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের কৌশলগত উদ্দেশ্যের কোনো স্বচ্ছতা ছাড়াই এই সামরিক বিকাশ ঘটছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেন, ‘ভবিষ্যৎ আমাদের রূপ নির্ধারণ করবে, এর জন্য অপেক্ষার পরিবর্তে পর্যালোচনাটিই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এবং এর সুপারিশগুলো অস্ট্রেলিয়াকে আরো আত্মনির্ভরশীল, আরো প্রস্তুত ও নিরাপদ করবে।’

অস্ট্রেলীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লস বলেন, ‘স্থলভিত্তিক প্রতিরক্ষা থেকে সরে এসে অস্ট্রেলিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে দেশেই তৈরি যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে দূরপাল্লার আক্রমণ সক্ষমতা গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পর্যালোচনাটিতে।’

মার্লস বলেন, ৫০০ কিলোমিটারের বেশি পাল্লার দূরত্বে ‘নির্ভুলভাবে আঘাত করতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র’ সেনাবাহিনীকে ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় শক্তি ও ক্ষিপ্রতা এনে দেবে।

পর্যালোচনায় অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিরক্ষা ঘাঁটিকে শক্তিশালী করার এবং সেখান থেকে এডিএফকে আরো পরিচালন ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দ্রুত স্থলভিত্তিক ‘হাই মবিলিটি আরটিলারি রকেট (এইচআইএমএআরএস)’ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।

অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রতিরক্ষা অগ্রাধিকারকে অর্থায়নের জন্য স্বয়ংক্রিয় বন্দুক ও সেনাবাহিনীর জন্য গোলাবারুদ সরবরাহের যানবাহন কেনার প্রকল্প বাতিল করা হবে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পর্যালোচনায় অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমাগত জাহাজ নির্মাণ সক্ষমতা অর্জনের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।

গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২২০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয়। এতে অস্ট্রেলিয়ার খরচ হবে ৮৯.৫ কোটি ডলার। এসব অপারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশটি ভার্জিনিয়া ক্লাস সাবমেরিনে ব্যবহার করবে। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে হওয়া অকাস প্রতিরক্ষা চুক্তির আওতায় ওয়াশিংটনের কাছ থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র পাবে ক্যানবেরা।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top