সিডনী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


অস্ট্রেলিয়ার আক্ষেপ মেটানোর অভিযান


প্রকাশিত:
৬ জুলাই ২০২৩ ১৯:১০

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০১:০১

 

অস্ট্রেলিয়া তখন অজেয়। স্টিভ ওয়াহ, মার্ক ওয়াহ, রিকি পন্টিং, ম্যাথু হেইডেন, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাকগ্রাদের নিয়ে রাজত্ব করছিল ক্রিকেটে। ২০০১ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে স্টিভ ওয়াহর দল অ্যাশেজ জেতে ৪-১ ব্যবধানে। সেই শেষ।
এরপর টানা ২২ বছর ইংল্যান্ডে আর অ্যাশেজ জেতা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। গতবারও সিরিজ ড্র হয়েছিল ২-২-এ। তবে দেশের মাটিতে আগের সিরিজে জেতায় ভস্মাধার নিজেদের কাছে রাখতে পেরেছিল তারা। দুই দশকের বেশি সময়ের আক্ষেপ মেটানোর দারুণ সুযোগ এবার হেডিংলিতে।

প্রথম দুই টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এগিয়ে ২-০ ব্যবধানে। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া হেডিংলি টেস্ট জিতলেই ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করবেন প্যাট কামিন্সরা।

এমন গুরুত্বপূর্ণ টেস্টেও ছায়া ফেলেছে লর্ডসে জনি বেয়ারস্টোর ‘বিতর্কিত’ স্টাম্পিং। দুই দলের খেলোয়াড়রা তো বটেই, ক্রিকেটের চেতনা নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়েছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত।

১৯৩২ সালের সেই কুখ্যাত বডিলাইন সিরিজের পর অ্যাশেজে এমন বিতর্ক হয়নি আর। লর্ডসের লংরুমে বসে খেলা দেখা এমসিসির সদস্যরা পর্যন্ত হেনস্তা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের। এত দিন আড়ালে থাকলেও গতকাল দ্য অস্ট্রেলিয়ান জানিয়েছে, বেয়ারস্টোর আউটের পর দর্শকরা এতটাই মারমুখী হয়েছিল যে গ্যালারি ছাড়তে বাধ্য হন স্টিভেন স্মিথের বাবা ও মা। দর্শকরা অবশ্য তাদের পরিচয় জানত না, শুধু অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল দুজনকে। আজ স্মিথ নিশ্চয়ই ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে বাবা-মায়ের অপমানের বদলা নিতে চাইবেন ব্যাটে ঝড় তুলে।

লর্ডসের ঘটনার প্রতিক্রিয়া যে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, সেটা ভালো বুঝেছেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। তাই দর্শকদের শান্ত থেকে সিরিজ উপভোগ করতে বললেন তিনি, ‘আপনারা সবাই আসুন আপনাদের দেশকে সমর্থন দিতে। মনে হয় না, এর চেয়ে বেশি কিছু করার দরকার আছে।’ অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও বিতর্ক ভুলে মনোযোগ দিতে চান মাঠের খেলায়, ‘সিরিজে এ পর্যন্ত যে ক্রিকেটাটা খেলেছি, তা নিয়ে গর্ব করতে পারি আমরা। হেডিংলিতে দলকে এই বার্তাটাই দিতে চাই।’

চোটের কারণে ২০২০-২১ মৌসুমের পর টানা তিন টেস্ট খেলেননি জস হ্যাজেলউড। হেডিংলিতেও তার খেলা অনিশ্চিত। প্রথম দুই টেস্টে ৫৬ ওভার বল করে ৮ উইকেট পাওয়া এই পেসারের জায়গায় একাদশে আসতে পারেন স্কট বোলান্ড। চোটের জন্য পুরো সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন নাথান লায়ন। তার জায়গায় খেলবেন ২২ বছরের তরুণ টড মারফি। ইংল্যান্ড বিশ্রাম দিয়েছে জেমস অ্যান্ডারসন, জশটান ও ওলি পোপকে। তাদের জায়গায় খেলবেন মঈন আলী, ক্রিস ওকস ও মার্ক উড।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top