সিডনী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


অস্ট্রেলিয়ায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে ব্যাপক বন্যা, রাস্তায় দেখা মিলছে কুমিরের


প্রকাশিত:
২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:১০

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০১:৫২



রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে অস্ট্রেলিয়ার অঙ্গরাজ্য উত্তর কুইন্সল্যান্ডে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হবে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। বন্যা আক্রান্ত এলাকাগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হলেও আটকা পড়ে আছে আরও অনেকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।


গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট চরম আবহাওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে এক বছরের সমপরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। ওই অঞ্চলগুলোর ছবি থেকে দেখা গেছে, কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নস বিমানবন্দরের বিমানগুলো পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়া শহরের মধ্যখানে কুমিরও দেখা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


ছবিতে আরও দেখা গেছে, ওই অঞ্চলের মানুষেরা নৌকায় করে বাড়িঘর ছেড়ে সরে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ওই অঞ্চলে কোনো নাগরিকের মৃত্যুর বা নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তীব্র বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্লাবিত অঞ্চল থেকে শত শত মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। অঞ্চলগুলো বাড়িঘর ডুবে গেছে। বিদ্যুৎ ও রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে।

মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই কেয়ার্নস শহরে ২ মিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার (কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের সরকার প্রধান) স্টিভেন মাইলস অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেন, ‘এ প্রাকৃতিক বিপর্যয়টি স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ। আমি কেয়ার্নসের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলেছে, তারাও কখনো এমন কিছু দেখেনি। উত্তর কুইন্সল্যান্ডের কোনো মানুষের এমন কথা বলা ভীষণ উদ্বেগের বিষয়।’

স্টিভেন মাইলস আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পানিতে আটকা মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা। কেয়ার্নস থেকে ১৭৫ কিলোমিটার উত্তরে উজাল উজাল শহরের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে হবে। উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে না পারায় সেখানকার হাসপাতালের ছাদেই রাত কাটিয়েছে অসুস্থ শিশুসহ নয়জন মানুষ।

কুইন্সল্যান্ডের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ সোমবার সারা দিনই প্রবল বৃষ্টি থাকবে এবং এর সঙ্গে জোয়ারের কারণে নিম্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের ওপর বৃষ্টিপাতের প্রভাব তীব্র হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও নদীগুলোর পানির প্রবাহ এখনো সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছানো বাকি। নদীগুলোতে আগামী বেশ কিছুদিন ব্যাপক পরিমাণে পানি প্রবাহিত হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, এ দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬৭ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top