সিডনী শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


করোনায় নতুন করে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৪২৩


প্রকাশিত:
৫ জুন ২০২০ ০০:৫৩

আপডেট:
৫ জুন ২০২০ ০০:৫৭

 

প্রভাত ফেরী: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪২৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৮১ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৫৬৩ জন। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি ৫০টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৭৮৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৬৯৪টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো তিন লাখ ৫৮ হাজার ২৭৭টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরও দুই হাজার ৪২৩ জনের দেহে। ফলে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৫৬৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৫ জনের। এদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৮১ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৭১ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১২ হাজার ১৬১ জনে। নতুন করে যারা মারা গেছেন তাদের ২৯ জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে নয়জন, সিলেট বিভাগে দুজন এবং রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ২২ জন মারা গেছেন হাসপাতালে, ১২ জন বাড়িতে এবং একজনকে হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণা করা হয়। বয়সের দিক থেকে ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৪ জন, ষাটোর্ধ্ব ১১ জন, সত্তরোর্ধ্ব দুজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবারের (৩ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন মারা গেছেন। ১২ হাজার ৫১০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরও দুই হাজার ৬৯৫ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুও কমেছে, শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও কমেছে। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৪০ জনের মৃত্যুর রেকর্ড আছে। এ তথ্য জানানো হয় ৩১ মে’র বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড আছে দুই হাজার ৯১১ জনের, যা গত ২ জুনের বুলেটিনে জানানো হয়। বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৩৮৬ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ছয় হাজার ৭৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৩০ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৬৭৪ জন।

দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১১২। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৩৭৫ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ৯৫ হাজার ১৮৮ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৬৩৪ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৩৭ হাজার ৬১৯ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৭ হাজার ৫৬৯ জন। বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে ডা. নাসিমা বলেন, মনে রাখবেন নিজের সুরক্ষা নিজের হাতে, নিজের পরিবারের সুরক্ষাও আপনার হাতে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top