সিডনী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


‘দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার’


প্রকাশিত:
২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:০৪

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:১৯

 

প্রভাত ফেরী: জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সকল মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি নিরপাদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে তার সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়ন করেছে এবং ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়ন দুর্বার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। করোনাভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি দৃঢ় অবস্থানে আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভেজাল ও দূষণমুক্ত নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণে আমরা ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩’ প্রণয়ন করে ২০১৫ সালে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করেছি।

তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান প্রণয়নসহ জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি, ভেজাল ও দূষণ বিরোধী অভিযান পরিচালনা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা কার্যক্রম ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বয় করে সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার সার, বীজ ও সেচের সঙ্গে সঙ্গে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ওপর ব্যাপক জোর দিয়েছে। এতে করে খাদ্যের অপচয় এবং অনিরাপদ খাদ্যের ঝুঁকি হ্রাস পাচ্ছে। তিনি বলেন, সুস্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, মাংস ও দুধের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি এ সকল খাবারের নিরাপদতাও নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বায়নের যুগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে খাদ্যের বহুমুখীতা এবং নিরাপদতার বিকল্প নেই। বিশেষ করে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্যের নিরাপদতার ঝুঁকি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই খাদ্য নিরাপদতার দিকে আমাদের সকলের অধিক গুরত্ব প্রদান করতে হবে।

তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন হতে ভোগ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে নিরাপদ খাদ্য ও তার পুষ্টিমান বজায় রাখতে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্যের নিরাপদতার সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই এক্ষেত্রে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অংশীজনের কার্যকর ভূমিকার মাধ্যমে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো। গড়ে তুলবো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top